পাখিটির নাম কাঠশালিক

প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২১, ১২:০৯

সাহস ডেস্ক
আলোকচিত্র :আবুল বাশার শিবলী

এটি হলো বাংলার সবচেয়ে ছোট শালিক। এরা ইংরেজীতে Chestnut-tailed Starling বা Grey-headed Myna নামে পরিচিত। আর বৈজ্ঞানিক নাম Sturnia malabarica। আকারে প্রায় ২১ সে.মি লম্বা। মাথা,পিঠ,লেজ ধূসর রুপালী রংয়ের,গলার নিচ থেকে বুক ও লেজের গোড়া পর্যন্ত হালকা খয়েরি রংয়ের।চোখে ধূসর বৃত্তের মাঝখানে কালো ফোঁটা। ঠোঁটের গোড়ার অংশটি সুরমা ও আগার অংশ হলুদ বর্ণের। এরা দলবদ্ধ ভাবে থাকে, একটু লাজুক স্বভাবের তাই মানুষের কাছাকাছি কম ঘেসে।

এদের বিচরণ অপেক্ষাকৃত হালকা বন-বনানীতে। আবার শহরেও দেখতে পাওয়া যায়। তবে ভূমিতে খুব একটা বিচরণ করে না। গ্রামে এখনো দল বেধে উড়তে দেখা যায়। গায়ের বর্ণ অতি উজ্জ্বল না হলেও দেখতে ভালোই লাগে। দল বেঁধে অথবা জোড়ায়-জোড়ায় বিচরণ করে। আমাদের বন জঙ্গল ধ্বংস করার প্রবণতায় এদেরকে ঠাঁই দিয়েছে শহরেও।

কাঠ শালিকের খাদ্য তালিকায় রয়েছে কীটপতঙ্গ, ছোট ফল, ফুলের মধু ইত্যাদি। এরা বটজাতীয় নরম ফলের গাছ থেকে ফল সংগ্রহ করে। বরই বা ল্যান্টানার ফল, শিমুলের ফুল থেকে মধু সংগ্রহ এদের অন্যতম খাদ্যাভ্যাস।


প্রজনন সময় বসন্ত থেকে গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত। বর্ষা মৌসুমে গাছের প্রাকৃতিক ফোকর এবং দালানের গোলাকার বা ছোট ভেন্টিলেটরে বাসা বানায়। বাসা বাঁধার আগে পছন্দমতো জায়গা খুঁজে বেড়ায়। বাসা বাঁধতে সময় লাগে ৫-৭ দিন। মেয়ে পাখি ডিম পাড়ে ৩-৫টি। ডিমের রঙ ফিকে নীল। ডিম ফুটে বাচ্চা হতে সময় লাগে ১৫-২১ দিন। কাঠশালিকের অন্যের বাসা দখলের প্রবণতা আছে। এরা চড়ুই, আবাবিল, কাঠঠোকরা, কোটরে পেঁচা, নীলকণ্ঠ ও বসন্তবৌরির বাসা দখল করে নিজের জন্য সাজায়। দখলের সময় প্রতিপক্ষের সঙ্গে যুদ্ধও চলে অনেক সময়।

পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে এসব পাখির ভুমিকা অনেক। তাই , আসুন এদের রক্ষায় এগিয়ে আসি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত