ঠাকুরগাঁওয়ে বিলুপ্তপ্রায় নীলগাই উদ্ধার

প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৪:৫১

সাহস ডেস্ক

ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার নাগর নদী তীরে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির একটি কালো রঙ্গের পুরুষ নীলগাই উদ্ধার করেছে বিজিবি। 

গতকাল মঙ্গলবার (২৩ফেব্রুয়ারি) বিকেল  ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার শৌলা দোগাছি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গ্রামবাসীর নজরে এলে তাঁরা প্রাণীটিকে ধাওয়া করে ধরে ফেলেন। খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক গ্রামবাসী সেখানে ভিড় জমান।  গ্রামবাসী প্রাণীটিকে জবাই করে মাংস খাওয়ার পরিকল্পনা করেন। তাঁরা প্রাণীটির গলায় ছুরিও চালাতে শুরু করেন। সে সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা সেখানে গিয়ে প্রাণীটিকে উদ্ধার করেন।

শৌলা দোগাছি এলাকার যুবক কৃষ্ণরাম বলেন, “অপরিচিত প্রাণীকে দেখতে পেয়ে তাঁরা গ্রামের অন্যদের খবর দেন। একপর্যায়ে ধাওয়া করে প্রাণীটিকে ধরতে সক্ষম হন গ্রামবাসী। পরে প্রাণীটি উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্ত ক্যাম্পে নিয়ে যান বিজিবির সদস্যরা।

বিজিবির কান্তিভিটার সীমান্ত ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আফলাতুন নিজামী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অপরিচিত প্রাণী আটকের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে দেখতে পাই, গ্রামবাসী প্রাণীটিকে জবাই করার চেষ্টা করছে। তাদের কাছ থেকে প্রাণীটিকে উদ্ধার করে আমরা ক্যাম্পে নিয়ে আসি। পরে উপজেলার ভেটেরিনারি সার্জনকে খবর দিলে তাঁরা প্রাণীটির চিকিৎসা করেন।

আজ বুধবার সকালে জানতে চাইলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভেটেরিনারি সার্জন (ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘স্থানীয় লোকজনের কাছে বনগরু হিসেবে পরিচিত হরিণ আর গরুর মাঝামাঝি দেখতে উদ্ধার হওয়া প্রাণীটি আসলে বিলুপ্তপ্রায় নীলগাই।’ 

তিনি আরো বলেন ,এটি একটি পুরুষ নীলগাই। এটি কিছুটা ছাই রঙের। চিকিৎসা দেওয়ার সময় নীলগাইটির গলায় ছুরি দিয়ে কাটাসহ দেহের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতচিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়। পরে ক্ষতস্থানে সেলাই করে দেওয়া হয়। নীলগাইটি এখন শঙ্কামুক্ত।

প্রসংগত, ২০১৭ সালে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার যদুয়ার এলাকায় ধূষর রঙ্গের একটি স্ত্রী নীলগাই উদ্ধার করা হয়েছিল। যা দিনাজপুর জাতীয় উদ্যানে ৪ দিন পরে মৃত বাচ্চা প্রসব করেছিল। সেই নীলগাইটি ৩ মাস পরে মারা যায়। পরের বছর রাজশাহী বিভাগে আরেকটি কালো রঙ্গের পুরুষ নীলগাই উদ্ধার করা হয়। সেটি দিনাজপুর জাতীয় উদ্যানে থাকার পরে বর্তমানে সাফরি পার্কে রাখা হয়েছে। বর্তমানে নীলগাইয়ের সংখ্যা দুটি। 

 তথ্যসূত্র- প্রথম আলো

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত