ময়মনসিংহে অসুস্থ হিমালয়ী শকুন উদ্ধার

প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৩:০৬

সাহস ডেস্ক

ময়মনসিংহের ফুলপুরে রুগ্ন অবস্থায় নদীর ধারে পড়েছিল একটি হিমালয়ী শকুন। রবিববার (৭ ফেব্রুয়ারি) এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শীতেষ চন্দ্র সরকারের সাথে পরামর্শ করে হেলডস ওপেন স্কাউট গ্রুপের স্বেচ্ছাসেবকরা সেখান থেকে শকুনটিকে উদ্ধার করে আনেন। 

বিষয়টি নিয়ে উপজেলা ভ্যাটেনারি সার্জন ডা. হামিদা খাতুনের সঙ্গে কথা বলে দেওয়া হয় ওষুধ। এরপর খবর পাঠানো হয় শেরপুরের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষন বিভাগকে। 

স্থানীয় লোকজন উপজেলার ঠাকুরবাখাই এলাকায় কংশ নদীর পাড়ে একটি শকুন পড়ে থাকতে দেখেন । বিশালাকৃতির এই শকুন দেখে স্থানীয়দের মধ্যে সৃষ্টি হয় উৎসাহের। এতো বড়ো শকুন এর আগে এলাকার মানুষ দেখেনি। 

ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর ও টাঙ্গাইল জেলা নিয়ে গঠিত দপ্তরটির রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আবদুল্লাহ আল আমিন  রবিববার (৭ ফেব্রুয়ারি)  বিকেলে নিয়ে যান উদ্ধার হওয়া হিমালয়ী শকুনটি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সীতেষ চন্দ্র সরকার হিমালয়ী শকুনটি হস্তান্তর করেন বন বিভাগের কাছে ।

হেলডস ওপেন স্কাউট গ্রুপের সম্পাদক তাসফিক হক নাফিও বলেন, "এতো বড়ো শকুন তিনি কখনও দেখেন নি। শকুনটি নদীর ধারে পড়ে রয়েছে খবর পেয়ে দ্রুত সেটি উদ্ধার করা হয়।" 

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আবদুল্লাহ আল আমিন বলেন, "শকুন সাধারণত একশ বছর বেঁচে থাকে। উদ্ধার হওয়া শকুনটি বৃদ্ধ হয়ে গেছে। রুগ্ন শকুনটির ওজন হবে ৫ কেজির মতো। এর প্রতিটি ডানা দুই ফুটের ওপরে।" 

তিনি আরো বলেন, "হিমালয়ী শকুন বা হিমালয়ান গৃধিনী প্রজাতির শকুন সাধারণত হিমালয় পার্বত্য এলাকায় বাস করে। প্রতিবছর শীতের এই সময়ে বাংলাদেশে পরিযায়ন করে। পরিযায়ী হিমালীয় শকুনটি বার্ধক্য ও অপুষ্টির কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। শকুনটিকে সেবা দিয়ে সারিয়ে তোলার পর বনে অবমুক্ত করা হবে।"

তথ্যসূত্র-সমকাল

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত