ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’ গতিপথ পরিবর্তন করে বাংলাদেশে আছড়ে পড়বে

প্রকাশ : ১৭ মে ২০২০, ১৩:১৬

সাহস ডেস্ক

আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় যেকোনো সময় গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে। এটার গতিমুখও পরিবর্তন হচ্ছে, আরও হতে পারে। আর যে গতিতে এগুচ্ছে সেই গতি ধরে রাখলে ১৯ কিংবা ২০ মে’র দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ হয়ে উপকূলে আঘাত হানতে পারে ‘আমফান’।’

আজ ১৭ মে (রবিবার) সকালে আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান একথা বলেন।

ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, ‘১৭ মে (রবিবার) রাত নাগাদ এটি প্রবল রুপ (severe cyclonic storm) ধারণ করবে। বাতাসের গতিবেগ ওঠবে ১২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। সোমবার (১৮ মে) অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে (very severe cyclonic storm) রুপ নিয়ে বাতাসের গতিবেগ ওঠে যাবে ১৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত। আর মঙ্গলবার (১৯ মে) অত্যন্ত প্রবল রুপ (extremely severe cyclonic storm) নিয়ে আমফানের কেন্দ্রে সর্বোচ্চ বাতাসের গতিবেগ ওঠে যাবে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। এরপর গতি কমে বুধবার (২০ মে) ১৯০ কিমি, এরপর ১৭০ কিমি এবং বৃহস্পতিবার (২১ মে) ১৩৫ কিলোমিটারে নেমে আসবে। ওইদিনই আমফান শান্ত হয়ে আবার নিন্মচাপে পরিণত হবে। তখন বাতাসের গতিবেগ থাকবে ৬০ কিমির মধ্যে।’

ভারতের আবহাওয়া অধিদফতরের বিজ্ঞানী ডিআর পট্টনায়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, ‘আমফান রবিবার রাতের মধ্যে উত্তর দিকে দিক পরিবর্তন করবে, সোমবার আবারও দিক পরিবর্তন করে আরও উত্তর-পূর্বদিকে সরে যাবে। এতে আগামী বুধবার বিকেলে কিংবা রাতে অত্যন্ত প্রবল শক্তি (extremely severe cyclonic storm) নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ ও বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপের মধ্য দিয়ে উপকূলে আছড়ে পড়বে।’

সাগর বিক্ষুব্ধ থাকায় ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর ওড়িশার সব সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে। আর বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতরও মোংলা, পায়রা, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরসমূহকে দেখাতে বলেছে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত। একইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকা সমূহকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উড়িশাতে সোমবার ও মঙ্গলবার ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। আর পশ্চিমবঙ্গ ও আশেপাশের অঞ্চলে মঙ্গলবার ও বুধবার ভারী থেকে অতিভারী এবং অতি প্রবল ভারী বর্ষণ হতে পারে। বাংলাদেশেও এ সময় ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত