জাতীয় নাট্যশালায় প্রাঙ্গণেমোর-এর শেষের কবিতা

প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০১৯, ১৪:০৪

সাহস ডেস্ক

আগামী ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় প্রাঙ্গণেমোর নাট্যদলের নাটক ‘শেষের কবিতা’ মঞ্চায়িত হবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘শেষের কবিতা’ উপন্যাস থেকে এর নাট্যরূপ দিয়েছেন অনন্ত হিরা আর নির্দেশনা দিয়েছেন নূনা আফরোজ। এটি দলের ৬ষ্ঠ প্রযোজনা।

‘শেষের কবিতা’ নাটকে অভিনয় করেছেন- নূনা আফরোজ, অনন্ত হিরা, রামিজ রাজু, শুভেচ্ছা, আউয়াল রেজা, সরোয়ার সৈকত, মাইনুল তাওহীদ, চৈতালী হালদার, জাহিদ, আশা, রিগ্যান, সীমান্ত, মনির, বিপ্লব, বাধন।

নাট্য সংক্ষেপ

শেষের কবিতা নাটকটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৬৭ বছর বয়সে লেখা বহুলপঠিত একটি বিখ্যাত প্রেমের উপন্যাস শেষের কবিতা’র নাট্যরূপ। শিলং পাহাড়ের পথে বিপরীতমূখী দুটি গাড়ির পরস্পর আকস্মিক দুর্ঘটনায় পরিচয় হয় বিলেত ফেরত ব্যারিস্টার অমিত রায় ও লাবণ্যর। নির্জন পাহাড়ের সবুজ অরণ্য ঘেরা দূর্লভ অবসরে দুজন দুজনকে দেখে মুগ্ধ হয়। যার পরিনতি ভালোবাসায়। যে লাবণ্য কেবলই বই পড়বে আর পাশ করবে, এমনি করেই তাঁর জীবন কাটবে ভেবেছিলো সেই লাবণ্য হঠাৎ আবিস্কার করলো সেও ভালোবাসতে পারে। আর অমিত তো মেয়েদের কাছে সোনার রঙের দিগন্ত রেখা, ধরা দিয়েই আছে, তবু ধরা দেয় না। রুচির তৃঞ্চা মিটিয়ে কত সুন্দরী মেয়েদের পাশ কাটিয়ে এসেছে এতকাল। সেই অমিত বন্দি হলো লাবণ্যর প্রেমে।

অমিত লাবণ্যকে বিয়ে করতে অস্থির হয়ে উঠে। কিন্তু লাবণ্যর মন তাতে সায় দেয় না। অনেক তর্ক-বিতর্ক, মান-অভিমানের পর অমিত লাবণ্যর বিয়েটা যখন অনিশ্চয়তার দোলাচলে দুলতে দুলতে সিদ্ধান্তে পৌছায়, ঠিক সেই সময় অমিতের বন্ধু কেতকী শিলং গিয়ে উপস্থিত হয়। কেতকীর সাথে বিলেতে থাকার সময় অমিতের একটা গভীর মুগ্ধতার সম্পর্ক ছিল এবং সে সময়টাতে অমিত কেতকীকে ভালোবেসেই একটি আংটি পরিয়েছিলো। লাবণ্যর সাথে অমিতের বিয়ের খবর শুনে কেতকী সে আংটি খুলে রাগে অভিমানে অশ্রুসিক্ত নয়নে শিলং ছেড়ে চেরাপুঞ্জি চলে যায়। অমিত যে আংটিটি লাবণ্যকে পরিয়েছিলো সেটিও লাবণ্য ফিরিয়ে দেয় অমিতকে অর্থাৎ অমিত দু’জনের কাছ থেকেই প্রত্যাখ্যাত হয়। অমিত কি করবে ভেবে পায় না।

ক’দিন পর চেরাপুঞ্জি থেকে ফিরে এসে অমিত দেখে লাবণ্য চলে গেছে শিলং ছেঁড়ে। অমিত ফিরে যায় কলকাতায়। তারও কিছুকাল পরে অমিতের সঙ্গে বিয়ে হয় কেতকীর এবং তারও কিছুদিন পর লাবণ্যর একটি চিঠি আসে অমিতের কাছে। সে চিঠির এক পাশে ছয়মাস পর শোভনলালের সাথে লাবণ্যর বিয়ের খবর। আর চিঠির অন্য পাশে অমিতের জন্য লেখা একটি দীর্ঘ কবিতা- যেনো বহতা দীঘ্যশ্বাস!

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত