প্লেব্যাক সম্রাট হারানোর এক বছর

প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২১, ২০:১৮

সাহস ডেস্ক

বাংলা গানের কিংবদন্তি গায়ক এন্ড্রু কিশোর। চার দশকের বেশি সময় ধরে সংগীত জগতে রাজত্ব করা এই শিল্পীর প্রথম প্রয়াণ দিবস আজ। গত বছরের ৬ জুলাই রাজশাহীতে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন গুণী এই গায়ক।

করোনাকালীন এই সময়ে বড় কোন আয়োজন ছাড়াই তাকে মনে করেছেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা। রাজশাহীতে পারিবারিকভাবে ছোট পরিসরে প্রার্থনাসহ বিভিন্ন আয়োজনে স্মরণ করা হয় কিংবদন্তিকে। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে স্মরণ করছেন তার ভক্তরা।

মানুষের জীবনের প্রতিটি অনুভুতি নিয়েই গান করেছেন তিনি। তার পুরোনো কালজয়ী সব গান এখনো মানুষের মুখে মুখে থাকে। 'কারে দেখাব মনের দুঃখ গো' কিংবা 'এক জনমে ভালবেসে ভরবে না মন', 'আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি' কিংবা 'হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস দম ফুরাইলে ঠুস' এমন শত শত কালজয়ী গানে আছে তার কণ্ঠ। এন্ড্রু কিশোর গান দিয়ে জয় করেছিলেন কোটি কোটি মানুষের মন।

১৯৫৫ সালের ৪ নভেম্বরে রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করা এই শিল্পী বড় হয়েছেন রাজশাহীতেই। এন্ড্রু কিশোরের বাবা ক্ষীতিশ চন্দ্র বাড়ৈ। মা মিনু বাড়ৈ রাজশাহী মহানগরীর বুলনপুর মিশন গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। তিনি ভারতীয় কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী কিশোর কুমারের একজন ভক্ত। তাইতো ভারতীয় কিংবদন্তির নামেই এন্ড্রু কিশোরের নাম রেখেছেন। মায়ের ইচ্ছেতেই শুরু করেন গান।

এন্ড্রু কিশোর পড়াশোনা করেছন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল গীতি, লোকসংগীত, আধুনিক ও দেশাত্মবোধক গানের শিল্পী হিসেবে রাজশাহী বেতারে তালিকাভুক্ত হন।

১৯৭৭ সালে 'মেইল ট্রেন' চলচ্চিত্রের 'অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তার কেউ' গানের মধ্য দিয়ে প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন এন্ড্রু কিশোর। এরপর আর পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি তার। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ছিলেন গানের জগতেই।

আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই কণ্ঠশিল্পী দীর্ঘ ১০ মাস ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে অবশেষে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

সাহস২৪.কম/সজল

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত