কর্মক্ষেত্রে পরিপাটি থাকুন

প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২৩, ১২:০০

ফয়জুন্নেসা মণি
কর্মক্ষেত্রে সফলতার জন্য পরিপাটি থাকা আবশ্যক

কথায় আছে-প্রথমে দর্শনধারী, তারপর গুণবিচারী! সুন্দর, গোছানো, পরিপাটি হওয়া একটা বাড়তি গুণ। তবে এই আধুনিক সময়ে পরিপাটিতা বিষয়টিকে বলা হয় লাইফ স্টাইল আর্ট। 

সৌন্দর্য, অভিব্যক্তি, পরিমিতিবোধ, অভিরুচি, শালীনতা, আন্তরিকতা আর বিনয়ী হওয়া পরিপাটি জীবনের অন্যতম শর্ত।

নিজের প্রয়োজনে নিজেকে ভালোভাবে উপস্থাপন করাটাই পরিপাটি জীবনের পরিমিতিবোধ। কর্মক্ষেত্রে নিজেকে সবসময় পরিপাটি ও গোছানো রাখতে হবে। 

অগোছালো, পোশাক পরিচ্ছদে অযত্নের ছাপ আপনার ব্যক্তিত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেলতে পারে। 

কর্মজীবিদের জন্য পরিপাটি থাকা একটি আদর্শিক গুণ। কর্মজীবনের ব্যস্ততায় নিজেকে পরিপাটি রাখাতে হলে :-

১. খুব সকালেই ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস করুন। সকালে ঘুম থেকে উঠলে মনটাও ফ্রেশ থাকবে, বাড়ির কিছু কাজও করা হবে। 

যথাসময়ে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হতে পারবেন। রাস্তাঘাটের যানজট ঝামেলা এড়িয়ে সময় মত অফিসে পৌঁছাও সম্ভব হবে। দিনের কাজ হবে গতিশীল। ফুরফুরে মেজাজে থাকবে মনটা। 

অপরপক্ষে অফিসে সময়মতো পৌঁছতে না পারলে মনটাই বিগড়ে যায়। অফিসিয়াল নিয়ম ভঙ্গ হয়। কাজের ব্যাঘাত ঘটে। অফিস কর্তা নাখোশ হন। আর ক্যারিয়ার সাফল্য অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। 

২. ক্লান্তি নিয়াময়ে গোসল আবার প্রশান্তি আনয়নে গোসল। যারা সারাদিন কর্মব্যস্ত-তার মধ্যে দিন কাটান তাদের সকালেই গোসল করে নেয়া ভালো। এতে মন ও শরীর দুটোই সতেজ থাকবে। 

ঝরঝরে শরীর ও প্রফুল­ মন নিয়ে অফিসের কাজের প্রতিও আগ্রহ বাড়বে। অফিস থেকে ফিরে এসে যদি আরেকবার গোসল করা যায় সেটাও ভালো হবে। কারণ সারাদিনের ক্লান্তি ভুলিয়ে দিতে গোসলের জুড়ি নেই, এতে করে রাতের ঘুমটাও ভালো হবে আপনার।

৩. ব্যবহার করুন হাল্কা সুবাসিত সুগন্ধি বা পারফিউম। গবেষকরা বলেছেন, সুন্দর ঘ্রাণ মানুষের মনকে নিমিষেই প্রফুল­ময় করে তোলে। এমন সুগন্ধি কিনবেন যে সুগন্ধিটি হবে হালকা সুবাসযুক্ত, কিন্তু সারাদিন গন্ধটা লেগে থাকবে।

৪. পরের দিন অফিসে কি পরবেন আগের দিন রাতেই ঠিক করে গুছিয়ে রাখুন।

অনেকেরই অফিসে যাওয়ার সময় তাড়াহুড়া শুরু হয়ে যায় কি পরবেন, কি পরবেন না এ নিয়ে। জামা অথবা শার্টটা ইস্ত্রি করা নেই। জুতো জোড়া কালি করা হয়নি। খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা মোজা অথবা হাতঘড়িটা। 

এমন অগোছালো হওয়ার কারণে সকালের অফিস টাইমটা কাটে তাড়াহুড়ো করে। মেজাজটা থাকে খিটখিটে।  অফিসে যেতে দেরিও হয়। 
 
৫. কর্মক্ষেত্রে পরার জন্য তিন চার সেট পোশাক রাখুন। সে মোতাবেক তিন/চার সেট অর্ন্তবাস, মোজা, আন্ডারওয়্যার, গেঞ্জি, রুমাল রাখলে ভালো। দুইদিন পর পর ব্যবহৃত পোশাক ও অন্যান্য পরিধেয় ধুয়ে আবার পরার উপযোগি করে রাখুন। 

৬. কর্মজীবীর প্রয়োজনে রোদ বৃষ্টি থেকে বাঁচতে ব্যবহার করুন মানানসই সানগ্লাস, ছাতা অথবা রেইনকোট। ব্যবহারের জিনিসগুলো নির্দিষ্ট জায়গায় যত্নে রাখুন।

৭. শরীরের ঘামের গন্ধ, মুখের গন্ধ, পায়ের মোজার গন্ধ খুবই বিব্রতকর। এ সমস্যাগুলো যাদের আছে তারা বিশেষ যত্ন নিন এই বিষয়ে। অনেকের মুখের দুগর্ন্ধের কারণে অপরজন তার থেকে নিরাপদ দূরত্বে থেকে কথা বলতে বাধ্য হন। 

যার গায়ে ঘামের বিদ্ঘট গন্ধ তার কাছে সহজে কেউ বসতে চায় না, তার সাথে কেউ বিছানায় শুতে চায় না। অথবা কারো পায়ের মোজার গন্ধে অফিসে থাকাই দায় হয়ে পড়ে। সুতরাং এটি নিজের জন্য অপমানজনক, অসচেতনতার পরিচায়ক। অপরের জন্য বিরক্তির এবং বিব্রতকর।

৮. কর্মজীবনের প্রয়োজনে পথে-ঘাটে চলতেই হবে। আর ডাস্ট এলার্জি বা ধুলাবালিজনিত শ্বাস নিতে কষ্ট অনেককেই যন্ত্রনা দিতেই পারে। এ থেকে রক্ষা পেতে মাস্ক ব্যবহার করুন। 

যাদের মাস্ক ব্যবহারে অসুবিধা আছে তারা রুমাল ব্যবহার করতে পারেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত