মাকে যেমন ভালোবাসি, তেমনি দেশকে ভালোবসবো: শিক্ষামন্ত্রী

দেশকে ভালোবেসে গড়ে তোলার জন্য শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, আমরা নিজের মাকে যেমন ভালোবাসি, তেমনি ভাষাকে ভালোবসবো, দেশ মাকে ভালোবাসবো। সেই মায়ের প্রয়োজনেই নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারবো। এই ভালোবাসা দিয়েই দেশটা গড়ে তুলবো, দেশটাকে সোনারবাংলা হিসেবে গড়ে তুলবো।

রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর দনিয়া কলেজে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়ে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি বলেন, এই যে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করছি,স্বাধীনতার শতবছর পালন করছি। মঞ্চের এধারে যারা আছি,কেউই তারা থাকবো না,থাকবে তোমরা। তোমাদের কাছে এই একশত বছরটা যেন স্বপ্নের মতো মনে হয়।

এসময় শিক্ষার্থীদের রাজনীতি সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ডা.দীপু মনি বলেন, জীবনের সব ক্ষেত্রেই ভালো-মন্দ রয়েছে। সেরকম রাজনীতিতেও এদুটোর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। রাজনীতি সেই জায়গা যেখানে জীবনের সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। আমাদের ব্যক্তি জীবন কেমন হবে,সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিজেরাই নেই,কিন্তু আমাদের জীবন-জীবিকা কেমন চলবে,দেশটা কেমন হবে,লেখাপড়ার সুযোগ থাকবে কি না,খাবারের সংস্থান হবে কি না,কাজের সংস্থান হবে কি না-সামগ্রিক উন্নয়ন-এমন অনেক সিদ্ধান্ত যেখানে গৃহীত হয়,সেটাই রাজনীতি। সেখানে দায়িত্বে থাকার পাশাপাশি ক্ষমতারও একটি যোগ আছে।

তিনি আরো বলেন, রাজনীতি সেটাই যার মধ্যে থাকে দেশের জন্য ভালোবাসা,দেশের সেবা,মানুষের জন্য ভালোবাসা,মানুষের সেবা। মানুষের জন্যই রাজনীতি করতে হবে,মানুষ মাত্রই রাজনৈতিক জীব। রাজনীতির বাইরে কেউই নয়,রাজনীতির উর্ধ্বেও মানুষ নয়।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন,সারাদেশে টিকা কার্যক্রম বিস্তৃত করা হবে। টিকার আওতায় সবাইকে আনা হবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সব বিষয়ে পুরোপুরি কবে ক্লাস শুরু হবে,তা নিশ্চিত করে  বলার সময় আসেনি। তবে মার্চ মাস পর্যন্ত সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে।

সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করা সহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।

কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান।