লক্ষ্মীপুরে সুপারি চাষীদের মুখে হাসি

প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২২, ১৮:০৮

নারিকেল, সুপারি আর সয়াবিনে ভরপুর জেলা লক্ষ্মীপুর। সর্বাধিক সয়াবিন উৎপাদন হওয়াতে ইতিমধ্যে সয়াল্যান্ড হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে জেলাটি। সয়াবিনের পাশাপাশি অর্থকরী ফসলের তালিকায় রয়েছে সুপারিও। চলতি বছর এ জেলায় সুপারির ফলন কম হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে জেলার পাঁচটি উপজেলায় ২ হাজার ৫৮০ হেক্টর জমিতে সুপারি চাষ হয়েছে। চলতি বছর সুপারি উৎপাদন হয়েছে ১৭ হাজার মেট্রিক টন। যার বাজার মূল্য ৫০০ থেকে ৫৫০ কোটি টাকারও বেশি।

এখানকার উৎপাদিত সুপারি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে সারাদেশে সরবরাহ হওয়ার পাশাপাশি যাচ্ছে মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশেও। সুপারির ভালো দাম পেয়ে হাসি ফুটেছে বাগান মালিকদের মুখে। এ অঞ্চলের প্রতেক বাড়িতে রয়েছে সুপারি গাছ। এছাড়াও বিশাল-বিশাল এলাকাজুড়ে রয়েছে সুপারি বাগান। সুপারির উন্নয়নে সুষ্ঠু পরিকল্পনা করা গেলে আগামীতে ফলন আরও বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করেন কৃষি কর্মকর্তারা।

এখানে উৎপাদিত সুপারি ভালো মানের ও সুস্বাদু হওয়ায় এর বেশ চাহিদা রয়েছে। এখানকার সুপারি যাচ্ছে ঢাকা, চট্রগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। অর্থকরী ফসল ও সৌন্দর্যর জন্য অনেক বাড়ির আশপাশে, প্রবেশ পথে, পুকুর পাড়ে, রাস্তার ধারে সারি সারি সুপারি গাছ রয়েছে। এটি লক্ষ্মীপুরের অন্যতম লাভজনক ফসল। স্থানীয় ভাবে, ৮০টা সুপারিতে ১ পোন, যা মৌসুমের শুরুতে ১৩০-১৪০ টাকা এবং বর্তমানে ১৭০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যাপারীরা লক্ষ্মীপুর থেকে সুপারি ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে বিক্রি করেন।

বাগান মালিকেরা বলেন, সুপারি উৎপাদনে খরচ কম। গাছের তেমন পরিচর্যা করতে হয় না। চাহিদা বেশি থাকায় প্রত্যাশিত দামও পাওয়ায় যায়। এজন্য জেলার বিভিন্ন এলাকায় সুপারি চাষ বেড়েছে। সঠিকভাবে চারা লাগালে ও যত্ন নিলে ছয় থেকে সাত বছরে সুপারির ফলন আসতে শুরু করে। তবে বেশি ফলন ধরে ১০ থেকে ১২ বছরের পর থেকে।

এ অঞ্চলের সুপারির জাত উন্নয়নে গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের পাশাপাশি চাষিদের মাঝে উন্নত জাতের চারা বিতরণ করা গেলে উৎপাদন আরও বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, আগস্ট থেকে সুপারি পাকতে শুরু করে। মার্চ পর্যন্ত সংগ্রহ চলে। এতে হেক্টর প্রতি ৫ থেকে ৭ মেট্রিক টন পর্যন্ত সুপারি পাওয়া যায়। এবছর জেলায় ১৭ হাজার মেট্রিক টন সুপারি উৎপাদন হয়েছে যার বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ৫০০-৫৫০ কোটি টাকারও বেশি।

সাহস২৪.কম/এএম/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত