বেড়েছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম

প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২২, ১৫:৪০

সাহস ডেস্ক

চলতি সপ্তাহে বাজারে পেঁয়াজ ও সবজির দাম বেড়েছে। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম। শুক্রবার (২৪ জুন) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও কাঁটাবন এলাকা ঘুরে এ চিত্র উঠে এসেছে। এসব বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে ৪০ টাকা করে বিক্রি হলেও এখন তা কেজিপ্রতি ৫০ টাকা। আলুর দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। এ ছাড়াও শসা প্রতিকেজি ৮০ টাকা। লম্বা বেগুনের কেজি ৮০ টাকা। টমেটো ১৫০ টাকা। করলা ৭০ টাকা। চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা। প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০, চিচিঙ্গা ৫০, পটল ৫০, ঢেঁড়স ৫০, কচুর লতি ৬০, পেঁপের কেজি ৫০, বটবটির কেজি ৬০, ধুনধুলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা।

কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ-রসুন বিক্রেতা সোলাইমান বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কম। এ কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।’ এছাড়াও বন্যার প্রভাবে সবজির দাম বেড়েছে জানিয়ে কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা নেয়ামত আলী বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরেই সবজির দাম বাড়ছে। উত্তরবঙ্গ ও সিলেট বিভাগে বন্যায় বহু ফসলি জমি পানিতে ডুবে গেছে। এতে নষ্ট হয়েছে কৃষকের ফসল। এ ছাড়াও বৃষ্টি ও বন্যার ফলে যান চলাচলও কিছুটা ব্যাহত ছিল। যার কারণে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে সবজির দাম।’ এসব বাজার ঘুরে আরও দেখা যায়, কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ২০ টাকা। শুকনা মরিচের কেজি ৪০০ টাকা।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বড় রুই কেজিপ্রতি ৩০০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোট কাতল ৩০০ হলেও বড় কাতল ৩৫০-৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৩শ-১৪শ টাকা, বড় সাইজের বোয়াল ৬০০-৭০০ ও ছোট সাইজের বোয়াল ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ছোট পাবদা ৩৫০ আর বড় পাবদা ৫৫০-৬০০, পাঙ্গাশ ১৮০-২২০, আইড় ছোট ৩৫০ আর বড় ৬০০-৭০০ টাকা, টাটকিনি ১৫০, সরপুঁটি ২০০, সামুদ্রিক কোরাল ৪০০, রূপচাঁদা ৬০০, সিলভার কার্প ২০০, চাষের শিং ৩৫০-৪০০, কৈ ১৮০-২০০, শোল ৭০০-৮০০ ও দেশি মাগুর ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে গরুর মাংসের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে খাসির মাংসের দাম।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, খাসির মাংস কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে। আগে ৮০০-৮৫০ টাকা থাকলেও ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকা অপরিবর্তিত রয়েছে। এ ছাড়াও আগের দামেই রয়েছে ডিমের দাম। বর্তমানে মুরগির ডিম ১২০ টাকা ডজন আর হাঁসের ডিম ১৬৫ টাকা ডজন। অন্যদিকে মুরগি ব্যবসায়ীরা বলছেন, মুরগির বাজার গত সপ্তাহের মতোই আছে। তবে বন্যার কারণে হয়তো দাম বাড়তে পারে। বাজারে ব্রয়লার ১৫০ টাকা, সোনালী ২৮০ টাকা ও পাকিস্তানি কক ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত আছে মুদি মালামালের দাম। আর সুপার পামওয়েল কেজিতে ৫ টাকা কমেছে। কাঁটাবনের মুদির বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এসব বাজারে দেশি মুশুরের ডালের কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মুশুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। প্যাকেট আটার কেজি ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। বাজারে ভোজ্য তেলের লিটার ২০৫ টাকা।

সাহস২৪.কম/এআর/এসটি/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত