ভারত থেকে গম আমদানি হতে পারে

প্রকাশ : ২৪ মে ২০২২, ১৯:১০

সাহস ডেস্ক

গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকলেও নতুন দুয়ার খুলতে যাচ্ছে ভারত। ফলে দেখা দিয়েছে প্রতিবেশী দেশটির সাথে সরকারি পর্যায়ে (জিটুজি) বাংলাদেশ-ভারতের গম আমদানি-রপ্তানির সম্ভাবনা। রবিবার (২২ মে) বাংলাদেশের দিল্লির হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরানকে এ বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ভারতের এনএসিওএফ সম্প্রতি এক চিঠিতে জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশে গম রপ্তানি করতে আগ্রহী।

হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরানকে পাঠানো চিঠিতে এ কথা উল্লেখ করে খাদ্য মন্ত্রণালয় বলে, বাংলাদেশের গম আমদানির স্বার্থে তিনি যেন ভারতের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এনএসিওএফ বা অন্য ভারতীয় সংস্থার মাধ্যমে জিটুজি ভিত্তিতে দেশটি থেকে শিগগিরই যাতে গম আমদানি করা যায় সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। এদিকে বাংলাদেশে খাদ্যনিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিবছর পাঁচ থেকে ছয় লাখ টন গম আমদানি করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। দেশে বার্ষিক গমের চাহিদা ৭৫ লাখ টন। দেশে উৎপাদন হয় ১১ লাখ টন গম। বাকি ৬৪ লাখ টন আমদানি করা হয় রাশিয়া, ইউক্রেন, ভারত ও কানাডা থেকে। এর মধ্যে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে আসে মোট আমদানির ৪৫ শতাংশ। কিন্তু যুদ্ধের কারণে এ দুটি দেশ থেকে এখন আমদানি বন্ধ রয়েছে।

অপরদিকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, আটা-ময়দার দাম এক মাসেই বেড়েছে ২৩ শতাংশ। এক বছর আগেও খোলা সাদা আটার কেজি ছিল ৩০-৩২ টাকা, যা গতকাল সোমবার ৪২-৪৮ টাকায় দেখা গেছে। আর প্যাকেটজাত আটা এক বছর আগের ৩২-৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫-৫০ টাকা হয়েছে। একইভাবে এক বছর আগের তুলনায় খোলা ময়দার প্রতি কেজির দাম ২৫-২৬ টাকা বেড়ে হয়েছে ৬০-৬২ টাকা এবং প্যাকেটজাত ময়দার দাম ৪২-৪৫ টাকা থেকে হয়েছে ৬০-৬৮ টাকা। বাংলাদেশে চালের পরেই আটা ও ময়দা অন্যতম খাদ্যপণ্য। আটা-ময়দা থেকে তৈরি হয় বিস্কুট, ব্রেড ও বেকারি পণ্য। রেস্তোরাঁয় হয় পরোটা, রুটি ইত্যাদি। আটা-ময়দার পাশাপাশি বেড়েছে এসব পণ্যের দামও।

সাহস২৪.কম/টিএ/এসটি/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত