রামগতি মেঘনা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:৩৮

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার মেঘনা নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকা রক্ষাকল্পে নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় মেঘনা নদী তীর প্রতিরক্ষা কাজের উদ্বোধন করেন, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী লে. কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক।

রবিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে হেলিকপ্টার যোগে উপজেলার পাটওয়ারি পাড়া ভাঙন কবলীত স্থানে পৌঁছান পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী লে. কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক।

গত বছরের ১৭ আগস্ট ই-জিপি টেন্ডার পোর্টাল এবং ১৮ আগস্ট পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। টেন্ডার অনুসারে প্রায় শতাধিক লটের মাধ্যমে মোট ৩ হাজার ৪০০ মিটার কাজ হবে। রামগতি উপজেলায় একটি লটের কাজ উদ্বোধন করেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী।

লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন আকন্দ এর সভাপতিত্বে উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ছিলেন, লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনের সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান, লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শাহাজাহান কামাল, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, পাউবি’র মহাপরিচালক প্রকৌ. ফজলুর রশিদ, পাউবি’র অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রকৌ. অখিল কুমার বিশ্বাস, লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ গোলাম ফারুক পিংকু।

এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম শান্তুনু চৌধুরী, রামগতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদ, রামগতি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল ওয়াহেদ মুরাদ, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদ, কেন্দ্রীয় আ’লীগের যুব ও ক্রীড়া উপকমিটির সহ-সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুজ্জাহের সাজু, উপজেলা যুবলীগ আহ্বায়ক- মেজবাহ্ উদ্দিন হেলাল সহ প্রমুখ।

লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ‘মেঘনা নদীর বড়খেরী, লুধুয়াবাজার এবং কাদিরপন্ডিতেরহাট বাজার’ তীররক্ষা প্রকল্প নামের ৩৩.২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রকল্পটি ২০২১ সালের ১ জুনে পাস করে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮৯ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। তবে উপকূলীয় বাসিন্দাসহ রামগতিবাসীর দাবি ছিল- ঠিকাদারের মাধ্যমে বাঁধ নির্মাণ না করে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বাঁধটি নির্মাণ করার। এজন্য বিভিন্ন সময়ে তারা কয়েক দফা আন্দোলন এবং মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করেছেন।

স্থানীয়দের দাবী, সরকার আমাদের জন্য বাঁধ নির্মাণের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন, সে বরাদ্দের অর্থ যেন সঠিকভাবে কাজে লাগে। এ ক্ষেত্রে কোনো দুর্নীতি যেন না হয়। সে বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে নির্মাণ কাজ যেন সঠিক তদারকি ও কঠোর নজরদারি থাকে। তাহলে টেকসই বাঁধ নির্মাণ হবে এবং আমাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্নও বাস্তবায়ন হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত