করের ১০০ টাকার ১৯ টাকাই সরকারি কর্মচারিদের বেতন

প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২১, ১৭:১৫

সাহস ডেস্ক

বৈশ্বিক মহামারি করোনার (কোভিড-১৯) দ্বিতীয় ও তৃতীয় আঘাতের প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট অর্থনৈতিক অভিঘাত সফলভাবে মোকাবলা করে চলমান উন্নয়ন বজায় ও উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য সামনে রেখে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট আজ সংসদে পেশ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বেলা ৩টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বাজেট বক্তৃতার মাধ্যমে এই প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন তিনি।

এবারের বাজেট মোট জিডিপির ১৭.৪৭%। এই বাজেটের মধ্যে ঘাটতি রয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। ঘাটতি জিডিপির ৬.২%। ঘাটতি মেটাতে প্রস্তাবিত বাজেটে বিভিন্ন খাতে অতিরিক্ত কর আরোপের সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি রাজস্ব সংগ্রহের জন্য আরও নতুন নতুন খাত খুঁজে বের করার জন্য উৎসাহ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

করের সবচেয়ে বড় অংশ খরচ হবে বিভিন্ন ধরনের সাহায্য মঞ্জুরিতে। সাধারণত প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল হতে এই সাহায্য মঞ্জুরি করা হয়। প্রতি ১০০ টাকা করের ১৯.১ টাকা এই খাতে খরচ করা হবে। করের টাকার দ্বিতীয় শীর্ষ খরচের খাত সরকারি কর্মচারিদের বেতন-ভাতা পরিশোধের খাত। নতুন অর্থবছরে করের প্রতি ১০০ টাকার ১৯ টাকাই এই খাতে খরচ করা হবে।

দেশি-বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধ করতে গিয়ে করদাতাদের প্রতি ১০০ টাকায় খরচ করতে হবে ১৮.৭ টাকা। এটি করের অর্থ খরচের তৃতীয় বৃহৎ খাত। করের ১২.৬ খরচ হবে বিভিন্ন ধরনের ভতুর্কি ও প্রণোদনায় যা খরচের চতুর্থ বৃহৎ খাত। এছাড়া পণ্য ও সেবা খাতে ৯.৯ টাকা এবং পেনশন পরিশোধে ৭.৭ টাকা খরচ হবে। বিভিন্ন সম্পদ সংগ্রহ করতে গিয়ে খরচ হবে করের ৫.৯ টাকা। পাশাপাশি অনুন্নয়ন ব্যয় ৩ টাকা, অপ্রত্যাশিত ব্যয় ও অন্যান্য ২.৮ টাকা এবং বাকী ১.৩ টাকা বিবিধি খাতে খরচ করা হবে।

প্রস্তাবিত বাজেটে মোট রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্রে আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা এবং এনবিআর বহির্ভূত সূত্র থেকে কর রাজস্ব ধরা হয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। কর বহির্ভুত খাত থেকে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৪৩ হাজার কোটি টাকা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত