পাকিস্তানি ব্যাংকের ঋণ ফেরত দিচ্ছেনা বাংলাদেশি গ্রহীতারা

প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৮:৪৫

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশে পরিচালিত বিদেশি ব্যাংক "ন্যাশনাল ব্যাংক অফ পাকিস্তান" (এনবিপি) বছরের পর বছর লোকসান গুনে যাচ্ছে। ফলে ব্যাংকটির ব্যাংকিং কার্যক্রম এখন স্থবির হয়ে পড়েছে। ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশে যাত্রা শুরুকারী বিদেশি এ ব্যাংকটি খেলাপি ঋণের কারণে অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের শেষে এনবিপির খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৩৭৪ দশমিক ৮ কোটি টাকা, যা তার মোট ঋণের ৯৭ দশমিক ৭ শতাংশ। এনবিপির ৭৬ জন কর্মচারী নিয়ে দেশে চারটি শাখা রয়েছে তবে তারল্য সংকটের কারণে ব্যাংকটির ঋণ বিতরণ কার্যক্রম বেশ কয়েক বছর ধরে স্থবির রয়েছে।

পাকিস্তানি এই ব্যাংকটি ২০১৩-১৪ সালে কিছু খেলাপি গ্রহীতাকে লোন দিয়ে বড় সমস্যায় পড়েছিল।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ব্যাংকের এক প্রবীণ কর্মকর্তা বলেন, ওই অর্থ উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এই ঋণ আমাদের পক্ষে উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়েছে, কারণ পাকিস্তানি ব্যাংক হওয়ার কারণে তারা এটা ফেরত দিতে চান না।

ব্যাংকের শীর্ষ ঋণখেলাপিদের মধ্যে রয়েছে ইব্রাহিম টেক্সটাইল, কটন গ্রুপ, কোবা গ্রুপ, ওয়ার্ল্ড টেল বিডি, ডিজি নিটিং কোম্পানি, আলেয়া সোয়েটার এবং সারা গ্রুপ।

পাকিস্তানি ব্যাংকের বাংলাদেশের কার্যক্রমের প্রধান নির্বাহী মো. কামরুজ্জামান বলেন, গত বছরের থেকে ঋণ বিতরণ স্থগিত করা হয়েছে। আমরা এখন খেলাপিদের কাছ থেকে টাকা পুনরুদ্ধারের উপর বেশি জোর দিচ্ছি। আমরা মূলধন উদ্ধারের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।

অর্থ পুনরুদ্ধারের জন্য ১০৪ খেলাপির বিরুদ্ধে ব্যাংক মোট ১৪৩ টি মামলা করেছে বলেছে জানান এনবিপির বাংলাদেশি প্রধান কামরুজ্জামান। ২০১৫ সাল থেকে এনবিপি খেলাপিদের কাছ থেকে মোট ১৯৩ দশমিক ৯৯ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে বলেও তিনি জানান।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এ বি মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, "যদিও এটি একটি বিদেশি ব্যাংক, তবুও আমানতকারীদের জন্য এটি খারাপ সংবাদ যে কোনও ব্যাংক বছরের পর বছর লোকসান করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।