বাজারে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ভিনেগার

ভিনেগারের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার বাজারে এলো কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড এর কেরুজ ভিনেগার। হ্যান্ড স্যানিটাইজার বাজারে ছাড়ার পর বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানটি রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলোতে পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ কর্মসূচির প্রকল্প হিসাবে এটি বাজারে ছাড়ে।

১৬ এপ্রিল,বৃহস্পতিবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,তবে আখ থেকে চিনি আহরণের পর যে উপজাত (চিটাগুড়, ব্যাগাস ও প্রেসমাড) পাওয়া যায়,  তা থেকে জৈব সার উৎপাদিত হয়। চিনি বা ইথানলকে গাজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসিটিক এসিডে পরিণত করা হয়, যাকে সিরকা বা ভিনেগার বলা হয়। সারা বিশ্বেই এর ব্যবহার রয়েছে।

বিভিন্ন ধরনের রান্নায় ভিনেগার একটি গুরুত্বপূর্ণ সউপকরণ। মাছ বা মাংসের বাড়তি গন্ধ দূর করতে এটি অত্যন্ত কার্যকর। হালকা ধরনের খাবার তৈরিতে যেমন স্যুপ বা বীজ জাতীয় খাবারে এর ব্যবহার বেশি দেখা যায়। এ ছাড়া খাবার সংরক্ষণ, সবজি রান্না, সালাদ ড্রেসিং করা হয় ভিনেগার দিয়ে। এটি শরীরের বাড়তি চর্বি কাটাতেও সাহায্য করে।

কেরুর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবু সাঈদ বলেন, কেরুতে দুই ধরনের ভিনেগার উৎপাদিত হয়। সাদা ভিনেগার ও মল্টেড ভিনেগার। কারখানায় ভিনেগারের বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা সর্বোচ্চ ৩০ (ত্রিশ) হাজার লিটার। প্রতি ৪৫০ মিলিলিটারের বোতল ৫০ টাকা ও ৭৫০ মিলিলিটারের বোতল ৮০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি  করোনা ভাইরাসের (কভিড-১৯) সংক্রমণ ঠেকাতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদনের পাশাপাশি ভিনেগার উৎপাদন অব্যাহত আছে।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানায় পণ্য বৈচিত্র্যকরণ এবং দেশীয় পণ্যের বাজার তৈরিতে বেশ কিছু কর্মসূচি হাতে নেয় শিল্প মন্ত্রণালয়।এরই অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি প্রথম বাজারে নিয়ে আসে কেরুজ হ্যান্ড স্যানিটাইজার।