সোমেন চন্দ হত্যা: ‘শতবর্ষে সোমেন’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

প্রকাশ | ০৮ মার্চ ২০২৩, ১৮:০০ | আপডেট: ১৩ জুন ২০২৩, ১৫:০১

নিজস্ব প্রতিবেদক
‘শতবর্ষে সোমন’ শীর্ষক স্মারক গ্রন্থে মোড়ক উন্মোচনে গুণীজনরা

প্রগতিশীল কথাসাহিত্যিক, বিপ্লবী ও প্রগতি লেখক সংঘের অন্যতম উদ্যোক্তা সোমেন চন্দ হত্যাদিবস উপলক্ষে ০৮ মার্চ মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে ‘শতবর্ষে সোমন’ শীর্ষক স্মারক গ্রন্থের। ০৮ মার্চ বিকালে রাজধানী কাঁটাবনে কবিতা ক্যাফেতে গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

প্রগতিশীল কথাসাহিত্যিক সোমেন চন্দকে ১৯৪২ সালের ৮ মার্চ লক্ষ্মীবাজার এলাকায় ছুরিকাঘাতে নিহত হন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সোমেন চন্দ চর্চা কেন্দ্রের প্রয়াত ৯ জন গুণী সংগঠকের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। তারা হলেন- কবীর চৌধুরী, সরদার ফজলুল করিম, কামাল লোহানী, শুভ রহমান, আহমেদ মনসুর, দিল মনোয়ারা মনু, মানিক চন্দ, আজিজ আহমেদ খোকন এবং মান্নান হীরা।

এরপর “মুক্তির মন্দির সোপান তলে” গানটি সমবেতভাবে পরিবেশন করেন উদীচীর শিল্পীরা। এছাড়া, সোমেন চন্দকে নিয়ে তপন বাগচীর লেখা `তুমি সোমেন চন্দ' গানটি পরিবেশন করেন উদীচীর শিল্পী মায়েশা সুলতানা ঊর্বি। একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য শিখা সেন গুপ্তা।

এরপর শতবর্ষে শীর্ষক স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন তারা। বইটির সম্পাদনা পরিষদে আছেন কামাল লোহানী, হারুন উর রশীদ, বাবুল বিশ্বাস এবং অমিত রঞ্জন দে। ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামের সব শহিদকে উৎসর্গ করা বইটির প্রচ্ছদ করেছেন অশোক কর্মকার।

বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের পর প্রবীণ সাংবাদিক আবেদ খানের সভাপতিত্বে শুরু হয় আলোচনা অনুষ্ঠান।

উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দের সঞ্চালনায় আলোচনা পর্বের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সোমেন চন্দ চর্চাকেন্দ্রের সহসভাপতি হারুন উর রশীদ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সংস্কৃতিজন মফিদুল হক, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, সিপিবির কন্ট্রোল কমিটির সদস্য মনজুরুল আহসান খান, অনুবাদক অধ্যাপক আবদুস সেলিম, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান এবং বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান। সোমেন চন্দের জীবনের নানাদিক নিয়েও আলোচনা করেন বিশিষ্টজনরা।

তারা বলেন, সোমন চন্দ ছিলেন ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা এবং মার্কসবাদী সাহিত্যিক। নরসিংদীতে জন্ম নেয়া সোমেন চন্দ ১৯৩৬ সালে পগোজ স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হলেও দুর্বল স্বাস্থ্যের কারণে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারেননি।

“প্রগতি লেখক সংঘ”-এ যোগ দেয়া ছাড়াও তিনি মার্কসবাদী রাজনীতি ও সাহিত্য আন্দোলনের সাথে যুক্ত হন তিনি। বাংলা সাহিত্যে প্রথম গণসাহিত্যের উপর কাজ করেন সোমেন চন্দ। ১৯৪১ সালে তিনি প্রগতি লেখক সংঘের সম্পাদক নির্বাচিত হন। প্রগতিশীল এই কথাসাহিত্যিককে ১৯৪২ সালের ৮ মার্চ রাজধানীর লক্ষ্মীবাজার এলাকায় ছুরিকাঘাতে হত্যা করে আততায়ীরা।

সাহস২৪.কম/এএম.