অমর একুশে গ্রন্থমেলার পর্দা নামছে আজ

প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০১৯, ১১:৩০

সাহস ডেস্ক

ভাষার মাস ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন শুরু হয়েছিল অমর একুশে গ্রন্থমেলা। দেখতে দেখতে ফুরিয়ে গেল মাস। লেখক ও প্রকাশকদের দাবির প্রেক্ষিতে দুইদিন সময় বাড়ানো পর আজ শনিবার (২ মার্চ) শেষ হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা ২০১৯। যদিও মেলার শেষ দিন হিসেবে গত বৃহস্পতিবারই মেলার পরিসমাপ্তির সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একুশে বইমেলা ২০১৯ এর উদ্বোধন করেন। এবারের মেলার স্লোগান ছিল ‘৫২ থেকে ৭১, ৭১ থেকে ১৯-নবপর্যায়’। মেলায় এবার ৪৯৯টি প্রতিষ্ঠানের ৭৭০টি স্টল অংশ নেয়। এ বছর বাংলা একাডেমি ৩ লাখ বর্গফুটের ওপর মেলার আয়োজন করে।

বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে মেলা অনুষ্ঠান মঞ্চে প্রতিবেদ তুলে ধরেন সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ।

বাংলা একাডেমি সূত্র জানায়, এবারের বইমেলায় নতুন বই এসেছে ৪ হাজার ৬৮৫টি। এ বছরই প্রথমবারের মতো ‘কবি জসীমউদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার ২০১৯’ প্রদান করে বাংলা একাডেমি। এবারের জসীমউদদীন সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। একই সঙ্গে ২ লাখ টাকার চেক, সনদ ও একটি ক্রেস্ট।

মেলা মঞ্চে আজকের আয়োজিত অনুষ্ঠানে চারটি বিভাগে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ২০১৮ সালে প্রকাশিত বিষয় ও গুণমানসম্মত সর্বাধিক সংখ্যক গ্রন্থ প্রকাশের জন্য কথাপ্রকাশকে ‘চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার-২০১৯’ প্রদান করা হয়।

২০১৮ সালে প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে গুণগতমান ও শৈল্পিক বিচারে সেরা গ্রন্থ বিভাগে গোলাম মুরশিদের বিদ্রোহী রণক্লান্ত : নজরুল-জীবনী গ্রন্থের জন্য প্রথমা প্রকাশনকে, মইনুদ্দীন খালেদের মনোরথে শিল্পের পথে গ্রন্থের জন্য জার্নিম্যান বুক্সকে এবং মারুফুল ইসলামের মুঠোর ভেতর রোদ গ্রন্থের জন্য চন্দ্রাবতী একাডেমিকে ‘মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০১৯’ প্রদান করা হয়।

২০১৯ সালের অমর একুশে বইমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্য থেকে নান্দনিক অঙ্গসজ্জায় সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মধ্যমা (এক ইউনিট), বাতিঘর (বহু ইউনিট), পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লি.-(প্যাভেলিয়ন)-কে ‘শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০১৯’ প্রদান করা হয়।

পুরস্কারপ্রাপ্ত সকল প্রকাশককে ২৫ হাজার টাকার চেক, সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত