বসন্ত এসে গেছে

প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৩:১২

পলাশ-শিমুলের ডালে আগুন লাগিয়ে ঘোষণা দিয়ে এসেছে ঋতু রাজ। 

তবে বসন্তের সমীরণ বলছে এ ঋতু সব সময়ই বাঙালির মিলনের বার্তা বহন করে। কারণ বসন্তেই ভাষা আন্দোলনের মধ্যদিয়ে বাঙালির স্বাধীনতার বীজ রোপিত হয়েছিল। বসন্তেই বাঙালি মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছিল।

বসন্তেই বাঙালি গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে তাদের প্রাণের নেতা বঙ্গবন্ধুকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্ত করেছিলেন। আবার এ বসন্তেই তরুণ প্রজন্মের আন্দোলনের মধ্যদিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির রায় ঘোষিত হয়। আর শহরের নাগরিক জীবনে বসন্তের আগমন বার্তা নিয়ে আসে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি...’ ও একুশের বইমেলা।

লজ্জা রাঙা তরুণির কানে কানে হয়ত ভোমর এসে জানান দিয়ে গেছে বসন্ত এসে গেছে। তাইতে দিনের শুরু হয়েছে একটু অন্যরকম। ভোরের সূর্যটা অন্যদিনের মত না হয়ে আজ যেন ভালোবাসা একটু বেশিই ছড়িয়েছে। বাসন্তি রংয়ের শাড়ি- ফতুয়া আর নানা সাজে মেতে উঠেছে ভালোবাসার মানুষটাকে নিয়ে সেই প্রথম প্রহরে। 

ঢাকার মধ্যে পুরো চারুকলা জুড়েই যেন লেগেছে হলুদ রংয়ের আগুনের ছোঁয়া। নারীরা নিজেদের বসন্তের সাজে সাজাতে খোপায়-গলায়-মাথায় পরেছে গাঁদা ফুলের মালা। হাতে রেশমি চুড়ি আর পরনে বাসন্তী রঙ্গের শাড়ি। বসন্ত উপলক্ষে পুরুষদের পরনেও শোভা পাচ্ছে রঙ্গিন পাঞ্জাবি, ফতুয়া। 

১৮ বছর আগে বঙ্গাব্দ ১৪০১ সাল থেকে প্রথম ‘বসন্ত উৎসব’ উদযাপন করার রীতি চালু হয়। সেই থেকে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদ্যাপন পরিষদ বসন্ত উৎসব আয়োজন করে আসছে। বসন্তের নাচ, গান ও কবিতার পাশাপাশি ফুলের প্রীতি বন্ধনী ও বসন্ত কথনের মাধ্যমে রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে বসন্ত বরণের অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত