মমতা মু্খ্যমন্ত্রী হচ্ছেন কিনা তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা

সব জল্পনা-কল্পনার অবসান। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল বিপুলভাবে বিজয়ী হলেও নন্দীগ্রামে বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে তৃণমূলের বড় বিজয়ের পর মমতা মু্খ্যমন্ত্রী হচ্ছেন কিনা এনিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হার নিশ্চিতের পর মমতা বলেছেন, আমি নন্দীগ্রামের রায় মেনে নিয়েছি। এটা বড় কোনো বিষয় নয়। বিচলিত হবেন না।

নির্বাচন কমিশন জানায়, নন্দীগ্রাম আসনে এক লাখ ৯ হাজার ৬৭৩ ভোট পেয়েছেন শুভেন্দু। আর মমতা পেয়েছেন এক লাখ ৭ হাজার ৯৩৭ ভোট। এক হাজার ৭৩৬ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

ভারতীয় সংবিধানের ১৬৩-১৬৪ ধারা মোতাবেক, কাউকে মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্যের মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হতে চাইলে বিধানসভার সদস্য হতে হবে। ওই ধারায় বলা হয়েছে, রাজ্যের বিধানসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনপ্রণেতারাই মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করবেন। এতে আরও বলা হয়েছে, টানা ছয় মাস মন্ত্রী কিংবা মুখ্যমন্ত্রী থাকতে গেলে তাকে রাজ্যের কোনো একটি আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। অন্যথায় ১৮০ দিন পর তার পদ বাতিল হয়ে যাবে। এ শর্তপূরণ সাপেক্ষেই পশ্চিমবঙ্গের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন তিনি।

ভারতের সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচিতদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ যাকে তাদের নেতা হিসেবে নির্বাচিত করবে, তিনিই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন। অন্যদিকে, মমতা মুখ্যমন্ত্রী হতে না পারলে তার ভাইপো অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে এ পদে দেখা যেতে পারে, এ ধরনের সংবাদও দেখা গেছে দেশটির বেশকিছু সংবাদমাধ্যমে।