নন্দীগ্রামে হেরে পশ্চিমবঙ্গ জিতলেন মমতা

প্রকাশ : ০৩ মে ২০২১, ১২:২৯

সাহস ডেস্ক

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসন নন্দীগ্রামে হেরে গেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে হেরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমাণ করে দিলেন, অধিকারীদের নয় পূর্ব মেদিনীপুর আসলে তৃণমূলেরই।

রবিবার (২ মে) সন্ধ্যায় নানা ধোঁয়াশা ও টানাপোড়েনের পর মমতার পরাজয়ের খবর ঘোষণা করলেন নির্বাচনটির রিটার্নিং অফিসার।

ভোটের ফল বলছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জিতেছে ১০টিতে। বিজেপি-র ঝুলিতে এসেছে ৬টি। শুভেন্দু দু’বার (২০০৯ এবং ২০১৪) যে লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন, সেই তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৭টি বিধানসভা আসনের মধ্যে মাত্র ২টি (নন্দীগ্রাম এবং হলদিয়া) বিজেপি জিতেছে। তমলুকের বর্তমান সাংসদ শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু।

অন্যদিকে, শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারীর লোকসভা কেন্দ্র কাঁথির অন্তর্গত ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৪টি তে জিতেছে বিজেপি— কাঁথি-উত্তর, কাঁথি-দক্ষিণ, ভগবানপুর এবং খেজুরি। এ ছাড়া মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত এগরা এবং ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পাঁশকুড়া-পশ্চিম কেন্দ্রেও জিতেছে তৃণমূল। যদিও ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের বিধানসভা ভিত্তিক হিসেব বলছে, অধিকারীদের সাহায্য ছাড়াই এগরা এবং পাঁশকুড়া-পশ্চিমে বিজেপি এগিয়ে ছিল।

তবে ভারতীয় সংবিধানের ১৬৩-১৬৪ ধারা মোতাবেক, কাউকে মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্যের মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হতে চাইলে বিধানসভার সদস্য হতে হবে।

ওই ধারায় বলা হয়েছে, রাজ্যের বিধানসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনপ্রণেতারাই মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করবেন। এতে আরও বলা হয়েছে, টানা ছয় মাস মন্ত্রী কিংবা মুখ্যমন্ত্রী থাকতে গেলে তাকে রাজ্যের কোনো একটি আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। অন্যথায় ১৮০ দিন পর তার পদ বাতিল হয়ে যাবে। এ শর্তপূরণ সাপেক্ষেই পশ্চিমবঙ্গের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন তিনি।

ভারতের সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচিতদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ যাকে তাদের নেতা হিসেবে নির্বাচিত করবে, তিনিই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন। অন্যদিকে, মমতা মুখ্যমন্ত্রী হতে না পারলে তার ভাইপো অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে এ পদে দেখা যেতে পারে, এ ধরনের সংবাদও দেখা গেছে দেশটির বেশকিছু সংবাদমাধ্যমে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত