আমফানে লন্ডভন্ড কলকাতা, ১২ জনের মৃত্যু

প্রকাশ : ২০ মে ২০২০, ২২:৩৩

সাহস ডেস্ক

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় সর্বোচ্চ ১৩০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হেনেছে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফান। এখন পর্যন্ত  ১০ থেকে ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

আমফানের প্রভাবে ইতোমধ্যেই দুই চব্বিশ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক জায়গা থেকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর আসতে শুরু করেছে। হাওড়া এলাকায় ঝড়ে উড়ে যাওয়া টিনের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে ১৩ বছরের এক কিশোরীর। এছাড়া মিনাখাঁ এলাকায় মাথায় গাছ পড়ে মৃত্যু হয়েছে আরেক নারীর।

উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাটেও এক যুবক গাছচাপা পড়ে মারা গেছে। গোটা রাজ্যে ধ্বংস হয়ে গেছে হাজার হাজার কাঁচা বাড়ি, জমির ফসল। উপড়ে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। মোবাইল টাওয়ার। ভেঙে গেছে বহু পুরোনো বাড়িঘর। ভেঙেছে সুন্দরবন অঞ্চ

ঘূর্ণিঝড় চলার সময়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমফানে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের খবর মিলছে। এখন পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ের পুরোটাই বাংলার ওপর দিয়ে গিয়েছে। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আবহাওয়া দপ্তরের বক্তব্য অনুযায়ী, আজ বেলা আড়াইটায় পশ্চিমবঙ্গে প্রথম আঘাত হানে আমফান। আঘাত হানে উপকূলীয় সুন্দরবন, হলদিয়া, দিঘাসহ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বহু এলাকা। এই এলাকায় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার। এরপর আমফানের তাণ্ডবে হলদিয়া, দিঘা, মন্দারমণি, শংকরপুর, তাজপুর, কুলপি, কাকদ্বীপ পাথর প্রতিমা, নামখানা, ঝড়খালি, ক্যানিং, হিঙ্গলগঞ্জ, বকখালি, বাসন্তী, ডায়মন্ড হারবার, গোসাবাসহ উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ অংশ বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। পানির তোড়ে ভেসে গেছে গবাদিপশু, সড়ক, সেতু, বাড়িঘর। দিঘা ও বকখালিতে প্রচণ্ড জলোচ্ছ্বাস হয়েছে। ভাসিয়ে নিয়ে গেছে ঘাটে বাঁধা নৌকা, লঞ্চ ও ট্রলার। এই রিপোর্ট লেখার সময়ও তীব্রবেগে ঝড় চলছিল কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, হাওড়া ও পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায়।

শুক্রবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে। উড়িষ্যা ও কলকাতায় ঝড়ের সঙ্গে ব্যাপক বৃষ্টিপাতও হচ্ছে। হাওড়া এবং হুগলি এলাকাতেও ব্যাপক তাণ্ডব চলছে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মাটির ঘর ভেঙ্গে পড়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত