রেল লাইন যেন মরিচ শুকানোর মাঠ

প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৩, ২০:০৪

আবু সালেহ, ঠাকুরগাঁও

আছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। কিন্তু উপযুক্ত জায়গা না থাকায় রেল লাইনের দুই পাশে মরিচ শুকাচ্ছেন ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকরা। এখন রুহিয়া রেলস্টেশন এলাকাকে দেখলেই মনে হবে, মরিচ শুকানোর মাঠ। শুধু রুহিয়া স্টেশন এলাকা নয় আশেপাশের প্রতিটি রেললাইনে এখন দেখা মেলবে লাল মরিচের সমারোহ। এবার ঠাকুরগাঁওয়ে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলার হাট-বাজারগুলোয় উঠতে শুরু করেছে কাঁচা ও পাকা মরিচ। দাম ভালো পেয়ে খুশি কৃষকও।
স্থানীয় ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন এ স্টেশন এলাকা থেকে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার শুকনা মরিচ কেনাবেচা হয়।
লিয়াকত আলী লাবু নামে স্থানীয় এক কৃষক  বলেন, এক বিঘা জমিতে বিন্দু ও বাঁশগাড়া জাতের মরিচ চাষ করেছি। নিড়ানী, সেচ ও পরিচর্যা পর্যন্ত আমার ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশাকরি,  এ জমিতে ১০ মণ মরিচ উৎপাদন হবে। এবার মরিচের দামও ভালো। প্রতি মণ মরিচ ১৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি করা যাবে। এতে প্রায় দেড় লাখ টাকা পাওয়া যাবে।
একই এলাকার কৃষক শাহীন আলম বলেন,  রেল গেইট এলাকার প্রায় ৭০ ভাগ কৃষকই মরিচ চাষের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।  আমি ২ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছি, এতে ১ লাখ টাকা খরচ হলেও লাভ থাকবে প্রায় ৩ লাখ টাকা।
মরিচ শুকাতে আসা সাবিনা বেগম বলেন, ১৫ কাঠা জমিতে মরিচ চাষ করেছি। মরিচের চারা রোপণ, সার-বিষ, রোদে শুকানোসহ সব কাজ নিজেরাই করি, গতবারের তুলনায় এবার অনেক ভালো মরিচ হয়েছে। মরিচের দামও বেশ ভালো, আমরা সবাই এবার খুশি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক আলমগীর হোসেন বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় ২ হাজার ২২৩ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। যা থেকে প্রায় ১৬৩ কোটি টাকার শুকনা মরিচ উৎপাদিত হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত