গণতন্ত্র হরণকারীদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না: মির্জা আজম

প্রকাশ : ১৯ মে ২০২৩, ১৭:২৯

নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশ বক্তব্য রাখেন মির্জা আজম

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মির্জা আজম বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছিল জিয়াউর রহমান। সপরিবারে হত্যার পর বিচারপতি সায়েমকে তার বঙ্গভবনে যান।

গভীর রাতে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে অসুস্থতার দায়ে পদত্যাগ করতে বলেন। সেদিন অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল জিয়াউর রহমান। সেই জিয়াউর রহমানের অবৈধভাবে গঠিত বিএনপি আজ গণতন্ত্রের কথা বলে, গণতন্ত্র উদ্ধারের কথা বলে। গণতন্ত্র হরণকারীদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না।

যাত্রাবাড়ীর কাজলা ব্রীজ মসজিদের কাছে শুক্রবার সকালে (১৯ মে) বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন। শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা এবং সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।

শান্তি সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল ও ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মনিরুল ইসলাম মনু।

প্রধান অতিথি হিসেবে মির্জা আজম আরও বলেন, ১৯৮১ সালের ৩০ মে পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছিল জিয়াউর রহমান। ১৯৯১-৯৬ এবং ২০০১-০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থেকে অত্যাচার-নির্যাতন, গুম, খুনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে।

২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আইভী রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করে। সেই সময়ে দুর্বিসহ দিন কাটিয়েছে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। ঘরে ঘুমাইতে পারে নাই, ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারতো না। প্রতিটি নেতাকর্মীর নামে ডজন ডজন মামলা দিয়েছিল। আমার নামেও প্রায় তিন ডজন মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিল।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় থাকলে দেশে অগ্নিসন্ত্রাস, খুন, গুম, রাহাজানি বৃদ্ধি পায়। সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা থাকে না।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা জনগণের পাশে আছি, তাদের বিপদে-আপদে সহায়তা করছি, সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় নিয়োজিত। আর সেই কারণেই আজকের এই শান্তি সমাবেশ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মনিরুল ইসলাম মনু। আরও বক্তব্য রাখেন, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতারা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত