সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনা

মহা ধুমধামে বিয়ে করা হলোনা লক্ষ্মীপুরের সবুজের

প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৩, ১৩:৪১

পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে ঋণ নিয়ে তিন বছর আগে প্রবাসে পাড়ি জমিয়েছিলেন সবুজ। এখনও ঋণের পুরো টাকা পরিশোধ করা হয়নি। মৎস্য ব্যবসায়ী বাবার স্বপ্ন ছিলো দেনা মিটিয়ে দেশে ফিরে আসলে মহা ধুমধামে ছেলেকে বিয়ে দিবেন। পাত্রীও পছন্দ করে রেখেছে পরিবার। তবে সে স্বপ্ন আর পূরণ হলোনা। সৌদি আরবে মক্কায় ওমরা করতে যাওয়ার পথে বাস দুর্ঘটনায় নিহত হন সবুজ হোসাইন।

তিনি লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার ৩নং চরমোহনা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড, দক্ষিণ রায়পুর গ্রামের ঢালি বাড়ির মৎস্য ব্যবসায়ী হারুন ঢালির ছেলে। ৪ ভাই বোনের মধ্যে সবুজ দ্বিতীয়। সবুজ প্রায় ৩ বছর ধরে সৌদি আরবের আবহা ডিস্ট্রিকে একটি কোম্পানিতে কাজ করতেন। আর অল্প কিছুদিন পরে দেনা শোধ করে দেশে আসার কথা ছিলো তার। সেই সুবাদে রোজায় ওমরাহ হজ করার জন্য মক্কার উদ্দেশে একটি যাত্রীবাহী বাসে উঠেছিলেন। সোমবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় বাসটি আসিম প্রদেশের আবহা এলাকায় পৌঁছালে একটি সেতুর সঙ্গে সংঘর্ষে সড়ক থেকে ছিটকে খাদে পড়ে যায়। সাথেসাথে বাসটিতে আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় সবুজসহ ৮ বাংলাদেশি ও সর্বমোট ২০ ওমরাহ যাত্রী মারা গেছেন। এছাড়া ঐ ঘটনায় ২৯ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১০ জন বাংলাদেশি রয়েছেন বলে জানা যায়।

সবুজের নিহতের খবর বাড়ি পৌঁছা মাত্রই শুরু হয়েছে শোকের মাতম। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিহতদের লাশ সৌদির আবহা শহরের এক হাসপাতালের হিমঘরে রয়েছে বলে পরিবারে পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

সবুজের বাবা হারুন জানান, লাশ দেশে নিয়ে আসার বিষয়ে সে দেশে থাকা বাংলাদেশের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। দূতাবাসের সহায়তা ও পরামর্শক্রমে লাশ দেশে আনা হবে নাকি সে দেশে দাফন করা হবে এই বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তার মৃত্যুতে বাড়ি ও ইউনিয়নজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।  নিহত সবুজের মা বলেন, দ্রুততম সময়ে সরকারি খরচে যেন আমার ছেলের লাশটি গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়-এই দাবি জানাই।

সাহস২৪.কম/এএম.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত