ঠাকুরগাঁও রেলস্টেশনে বেড়েছে পকেটমারদের দৌরাত্ম্য, অসহায় ট্রেনযাত্রীরা

প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৩, ১৭:২৯

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁও রেলস্টেশনে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি, বিনা টিকিটের যাত্রীদের ও হিজড়াদের অত্যাচারসহ নানা অনিয়ম ছাড়াও এখন পাল্লা দিয়ে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলেছে পকেটমারদের দৌরাত্ম্য। এমন কোনোদিন নেই যে সাধারণ রেলযাত্রীদের পকেট মারার অভিযোগ আসছে না।

স্টেশনে পকেটমার চক্র একদিনে ১১ জনের বিভিন্ন অংকের প্রায় ৬৫ হাজার এবং গত তিনদিনে মোট ১৯ জনের প্রায় লাখ টাকা নিয়ে চম্পট হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

এছাড়া ঠাকুরগাঁও রোড রেলস্টেশনসহ আশেপাশের প্রায় সব রেলস্টেশনেই পকেটমারদের দৌরাত্ম আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। এদিকে যাত্রী সেজে পকেটমারেরা লুটে নিচ্ছে অসহায় যাত্রীদের সর্বস্ব।

ভুক্তভোগী ও অভিযোগকারী ১৯ জনের মধ্যে রয়েছেন ব্যবসায়ী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, আইনজীবী ও সাংবাদিকসহ অন্যান্য পেশাজীবী।

তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘অভিনব কৌশলে কোনো কিছু বুঝতে না দিয়ে পকেটমার চক্র তাদের পকেটে হাত ঢুকিয়ে টাকা বের করে নিয়ে চম্পট হচ্ছে। আর এসব অধিকাংশ ঘটনা ঘটছে ঠাকুরগাঁও রোড রেলস্টেশন থেকে তাড়াহুড়ো করে ট্রেনে উঠা-নামার সময়।’

ভুক্তভোগীরা বলেন, ‘যাত্রী উঠানামা করার জন্য স্টেশনে সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন মিনিট ট্রেন থামে। এসময় যাত্রীরা তাড়াহুড়ো করে ব্যাগসহ মালামাল নিয়ে ট্রেনে উঠা-নামার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সেই সুযোগে পকেটমার চক্র সু্যোগ বুঝে যাত্রীদের পকেটে থেকে টাকা-পয়সাসহ মোবাইল হাতিয়ে নিচ্ছেন।’

এ বিষয়ে চলন্ত ট্রেনে অভিযোগ করার জন্য কোনো কর্তৃপক্ষকে পাওয়া যায় না ও স্টেশনে অভিযোগ দিয়েও কোনো লাভ হয় না।

রেলের নিয়মিত যাত্রী ঠাকুরগাঁও শহরের আলতাফ হোসেন জানান, এই রেল একটি আলাদা জগত। সব সময় টিকিট পাওয়া যায় না। পাওয়া গেলেও বিনা টিকিটের যাত্রীদের জন্য ঠিকমতো বসা যায় না। তারপর হিজড়াদের অত্যাচার, টাকা না দিলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং গায়ে হাত তুলতে দ্বিধা করে না তারা। এসব দেখার কেউ নেই রেলে। এখন বেড়ে গেছে পকেটমারের দৌরাত্ম্য। মনে হয় সব অপরাধ এখন রেলকে ঘিরেই।

এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও রোড স্টেশনের মাস্টার আখতারুজামান বলেন, স্টেশনে ট্রেন এসে পৌঁছানোর প্রায় আধা ঘণ্টা আগ থেকেই মাইকে অসংখ্যবার পকেটমার সম্পর্কে যাত্রীদের সতর্ক করা হয়। তার পরেও অনাকাঙ্খিতভাবে এমন ঘটনা ঘটলে আমরা দায়ী না। কারণ আমরা তো পকেটমারদের চিনি না।

স্টেশনে সার্বক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব করা হয়েছে।

সাহস২৪.কম/এআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত