অভিনেত্রী দিতিকে হারানোর সাত বছর

প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৩, ১৪:৫৮

বিনোদন ডেস্ক

দেশের চলচ্চিত্রে সোনালি পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পারভীন সুলতানা দিতি'র সপ্তম মৃতুবার্ষিকী আজ (সোমবার)। ক্যানসারের সঙ্গে লম্বা যুদ্ধ শেষে ২০১৬ সালের এ দিনটিতে (২০ মার্চ) না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন বহু বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের এই সফল নায়িকা ও নাট্য নির্মাতা।

দিনটিকে স্মরণ করে তার পরিবার বিশেষ আয়োজন করেছে। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অভিনেত্রীর গ্রামের বাড়িতে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।

১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে নবাগত নায়ক-নায়িকা বাছাই করে। এতে দক্ষতার সঙ্গে স্থান পান দিতি। দিতিকে নিয়ে তৈরি হয় একের পর এক ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র। একজন সংগীতশিল্পী থেকে হয় ওঠেন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। শুধু তাই নয়, দিতির অসামান্য অভিনয় দক্ষতার কারণে ‘স্বামী-স্ত্রী’ ছবিতে অভিনয় করে অর্জন করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

১৯৮৫ সালে আমজাদ হোসেনের ‘হীরামতি’ সিনেমায় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীর সঙ্গে অভিনয় করতে গিয়েই প্রেমে পড়েন দুজন। পরে তারা দুজনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৮৭ সালে জন্ম নেন মেয়ে লামিয়া চৌধুরী আর ১৯৮৯ সালে জন্ম নেন ছেলে দীপ্ত। যদিও সোহেল চৌধুরী-দিতির সংসার স্থায়ী হয়নি। তারপর ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাত দুইটার দিকে বনানীর ট্রাম্পস ক্লাবে খুন হন সোহেল চৌধুরী। পরে দিতি তার সর্বাধিক চলচ্চিত্রের জুটি ইলিয়াস কাঞ্চনকে বিয়ে করলেও সে বিয়েও স্থায়ী হয়নি। আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটে এ সংসারেও।

দিতি অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো : ‘হীরামতি’, ‘দুই জীবন’, ‘ভাই বন্ধু’, ‘উছিলা’, ‘লেডি ইন্সপেক্টর’, ‘খুনের বদলা’, ‘দুর্জয়’, ‘আজকের হাঙ্গামা’, ‘স্নেহের প্রতিদান’, ‘শেষ উপহার’, ‘চরম আঘাত’, ‘স্বামী-স্ত্রী’ ইত্যাদি।

সাহস২৪.কম/এআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত