সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের রাজনীতি শুরু করেছে বিএনপি: কাদের

প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৩, ১৫:২৬

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচনের আগে বিএনপি সবসময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার মাধ্যমে বিভাজনের রাজনীতি শুরু করে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ভূ-লুণ্ঠিত করার জন্যই বিএনপি নীতিগতভাবে সাম্প্রদায়িকতার পথকে বেছে নিয়েছে। রাজনীতিতে বিভেদের এই খেলা বিএনপিকে আর খেলতে দেওয়া হবে না। অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে তা মোকাবিলা করবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।

বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে সমগ্র বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায় এক ভয়াল বিভীষিকাময় সময় অতিবাহিত করেছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ওপর বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে এই সন্ত্রাসের বিবরণী সুস্পষ্টভাবে উঠে আসে। তাতে দেখা যায় ২৭ জন এমপি, মন্ত্রীসহ বিএনপির প্রথম সারির নেতারা এই সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত ছিল। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্বিচারে এই সন্ত্রাস চালানো হয়; যেখানে মায়ের সামনে মেয়েকে ধর্ষণ করে বিএনপির সন্ত্রাসীরা।’

কাদের বলেন, ‘ঐতিহাসিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যগতভাবে অসাম্প্রদায়িক নীতি ধারণ ও তা লালন পালন করে আসছে। অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অঙ্গীকার। অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বিনির্মাণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিরোধী চিহ্নিত রাজনৈতিক শক্তিই এদেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পরিচর্যা করে আসছে। যার গোড়াপত্তন হয়েছিল সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের হাত ধরে। বিএনপিই এদেশের সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক।’
 
ওবায়দুল কাদের বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও উস্কানিমূলক বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

তিনি বলেছেন, ‘আন্দোলনে জনগণের সাড়া না পেয়ে বিএনপি নেতারা প্রতিনিয়ত উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য চিরাচরিত ভঙ্গিতে মিথ্যাচার করছে। বিএনপি কখনোই নিজেদেরকে জনগণের আয়নায় দেখতে প্রস্তুত নয়। এজন্য তারা সবসময় জনমত যাচাইয়ের গণতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ভয় পায়। নির্বাচন আতঙ্ক থেকে তারা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্টের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অসাংবিধানিক ও অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান এদেশের গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিল। জিয়াউর রহমান জাতিকে কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিল এবং সামরিক আইন বহাল রেখে ১৯৭৭ সালে হ্যাঁ/না ভোট, ১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এবং ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করেছিল। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে জিয়া পত্নী বেগম খালেদা জিয়া। যার ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করার অভিপ্রায়ে খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন করেছিল; বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিকে বিরোধী দলীয় নেতার আসনে বসিয়ে মহান জাতীয় সংসদকে কলঙ্কিত করেছিল।’

সাহস২৪.কম/এআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত