দেশে খাদ্য ঘাটতি নেই: ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২৩, ১৭:১২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০১ সালে আমরা যখন ক্ষমতা হস্তান্তর করি, তখনও ২৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত রেখে গেছি। ২০০১ সালে আসলো লুটেরা একদল, সন্ত্রাসীর দল বিএনপি। তারা আবার বাংলাদেশকে খাদ্যে ঘাটতির দেশে পরিণত করে। ২০০৯ সালে আবার যখন সরকার গঠন করি, তখন দেখি সেই ২৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি। আল্লাহর রহমতে দেশে এখন আর খাদ্য ঘাটতি নেই। ২১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য এখন মজুত আছে। 

শনিবার (১১ মার্চ) দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা সার্কিট হাউস মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে শতাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সরকারপ্রধান।

বক্তব্যের শুরুতে নেতাকর্মীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। শ্রদ্ধা জানান বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি।

তিনি বলেন, তিন বছর সাত মাস তিন দিন জাতির পিতা দেশ গড়ার সময় পেয়েছিলেন। এ সময়ের মধ্যে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে গড়ার কাজ করেন। সংবিধান প্রণয়ন করেন।

অশ্রুসজল কণ্ঠে ৭৫ সালে ১৫ আগস্ট শহীদদের আত্মার মাঘফেরাত কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ও ছোট বোন শেখ রেহেনা বিদেশে ছিলাম বলে বেঁচে গেছি। আওয়ামী লীগের সভাপতি করার পর দেশে আসার সুযোগ হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার একটাই লক্ষ্য আমার বাবা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য। তা বাস্তবায়ন করা। আমি আপনাদের জন্য কিছু উপহার নিয়ে এসেছি।

উদ্বোধন করা ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্পগুলো পড়ে শুনিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার মাসে ৭৩টি প্রকল্প উদ্বোধন করে দিয়ে গেলাম, সেগুলো স্বযত্নে রাখবেন। এরপর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা ৩০টি প্রকল্প পড়ে শোনান তিনি।

বিএনপির সমালোচনার করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি তাদের শাসনামলে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে আন্তর্জাতিক মহলে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। তারা ক্ষমতায় থেকে মানুষের সম্পত্তি দখল করেছিল, আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে যাদের ঘরবাড়ি নেই তাদের বিনা পয়সায় ঘর করে দিচ্ছে। বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে বোমা হামলা, দুর্নীতি, লুটপাট ও জঙ্গিবাদের অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ ছিল।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলেই উন্নয়ন হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,  অবৈধভাবে জিয়া ক্ষমতায় যায়। বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার মানেই হচ্ছে মানুষের ওপর অত্যাচার, মানুষকে শোষণ করা, বঞ্চনা করা। আর আওয়ামী লীগ মানুষকে উপহার দেয় উন্নয়ন। আমরা আজ শতভাগ বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি প্রত্যেকের ঘরে ঘরে। আমরা নতুন নতুন স্কুল করেছি। ২৬ হাজার নতুন প্রাইমারি স্কুল সরকারিকরণ করেছি। আজকে আমাদের স্বাক্ষরতার হার ৭৫.২ শতাংশ।

জনসভা থেকে ময়নমনসিংহে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও স্বতন্ত্র প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।

পাঁচ বছর পর ময়মনসিংহে জনসভা করছেন শেখ হাসিনা। তাকে দেখতে ও তার বক্তব্য শুনতে সকাল থেকেই জেলার সব উপজেলা ও আশপাশের জেলা থেকে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ জনসভাস্থলে আসতে থাকেন। সকাল থেকেই জনসভাস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে আছে। আগতদের যাতায়াত সুবিধায় ব্যবস্থা করা হয়েছে বিশেষ আটটি ট্রেন।

প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনিসহ দলের কেন্দ্রীয় ও ময়মনসিংহের নেতাকর্মীরা উপস্থিত আছেন। 

সাহস২৪.কম/এসএস

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত