স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করতে চাই: ইমরান

প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২২, ১৯:২৪

সাহস ডেস্ক

ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন শেষ হয়েছে ০৬ ডিসেম্বর। এরই মধ্যে নতুন দায়িত্ব পাওয়ার দৌঁড়ে আলোচনায় আছেন প্রায় এক ডজন পদপ্রত্যাশী। যাদের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো: আরিফুজ্জামান ইমরান আলোচনায় রয়েছেন।

এদিকে ছাত্রলীগের শীর্ষ পদে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার মধ্যে তিন নেতা বয়স জালিয়াতি করেছেন বলে জানা গেছে। যাদের খোঁজখবর নিচ্ছেন গোয়েন্দারা। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রে সদস্যদের বয়সসীমা রয়েছে অনূর্ধ্ব ২৭ বছর। কিন্তু নিয়মিত সম্মেলন না হওয়ায় গত তিনবার বয়সসীমা দুই বছর বাড়িয়ে অনূর্ধ্ব ২৯ বছর করা হয়। সভাপতি হিসাবে আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক হিসাবে লেখক ভট্টাচার্য দুই বছর ১১ মাস দায়িত্ব পালন করছেন।

সাহস২৪.কম-এর সাথে কথা হয় মো: আরিফুজ্জামান ইমরানের। আলাপচারিতায় তিনি বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বির্নিমাণে বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, মাদক, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসমুক্ত আধুনিক উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় প্রত্যয়ে সক্রিয়ভাবে সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রেখে কাজ করে যাবো।

তিনি বলেন, ছাত্রলীগের কোন কর্মকান্ড দ্বারা যেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাবমর্যাদা প্রশ্নের সম্মুখীন না হয় সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। ছাত্রলীগকে তার ইতিবাচক ও সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি বাড়ানোর পাশাপাশি সাধারণ মানুষ ও ছাত্রসমাজের মাঝে ইতিবাচক মনোভাব তৈরী করতে হবে। ছাত্রদের অধিকার নিয়ে কথা বলবে ছাত্রলীগ। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ, মাদকবিরোধী কার্যক্রমে বেশি সক্রিয় হবে ছাত্রলীগ। বিপদে-আপদে ছাত্রদের পাশে দাঁড়াবে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের প্রতি মানুষের ভালোবাসা-শ্রদ্ধা ও আস্থা থাকবে। সে কাজটির দায়িত্বভার বর্তমান ছাত্রলীগকেই নিতে হবে। কারণ ইতিহাস, ঐতিহ্য, গৌরব, অহঙ্কার, স্বর্ণালী অতীতের ধারক-বাহক হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ছাত্রলীগ।

তিনি আরও বলেন, সময়ের সেরা সাহসী সন্তানেরাই ছাত্রলীগ করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, “সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই”। আর ছাত্রলীগ হচ্ছে সোনার মানুষ গড়ার প্রতিষ্ঠান। আমি সেই বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বির্নিমাণে কাজ করে যেতে চাই। নিজেকে নিয়জিত রাখতে চাই মানুষের কল্যানে।

প্রসঙ্গত, ছাত্রলীগের শীর্ষ পদে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার মধ্যে তিন নেতা বয়স জালিয়াতি করেছেন বলে জানা গেছে। যাদের খোঁজখবর নিচ্ছেন গোয়েন্দারা। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রে সদস্যদের বয়সসীমা রয়েছে অনূর্ধ্ব ২৭ বছর। কিন্তু নিয়মিত সম্মেলন না হওয়ায় গত তিনবার বয়সসীমা দুই বছর বাড়িয়ে অনূর্ধ্ব ২৯ বছর করা হয়। সভাপতি হিসাবে আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক হিসাবে লেখক ভট্টাচার্য দুই বছর ১১ মাস দায়িত্ব পালন করছেন।

করোনাভাইরাসের কারণে তারা যথাসময়ে সম্মেলন করতে পরেননি। ফলে এবারের সম্মেলনেও বয়স বাড়ানোর বিষযটি নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার বয়সের ব্যাপারটি অনানুষ্ঠানিকভাবে স্পষ্ট করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি অন্য নেতাদের জানিয়ে দেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বয়সের ব্যাপারে তার আলোচনা হয়েছে। এবারও বয়সসীমা হবে ২৯ বছর। এটা বাড়ানো হবে না।

অন্যদিকে আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যও দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। তিনিও বয়সসীমা ও ছাত্রত্বের ব্যাপারে খোঁজ নেন। এ সময় তিনি গত সম্মেলনে ২৯ হওয়া বয়সসীমার প্রতি সমর্থন জানান। বয়সসীমার এ ব্যাপারটি স্পষ্ট হওয়ায় এবার নেতৃত্বের দৌড়ে এগিয়ে আছেন প্রায় এক ডজন পদপ্রত্যাশী। এদের অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। অনেকেই ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে প্রত্যক্ষভাবে মাঠে ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত