ঘুমন্ত গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২২, ১৩:২০

সাহস ডেস্ক

ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার সিকদার চরে রাতের আঁধারে বকুল বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় নিহত বকুলের বড় বোন মুকুল বেগমকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। মুমূর্ষু মুকুল বেগমকে প্রথমে চরফ্যাসন হাসপাতালে এবং পরে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, ধানের মৌসুম শুরু হতে না হতেই আবারও ভোলার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলগুলো উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। বিগত বছরগুলোর মত এবারও খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শঙ্কিত হয়ে পড়েছে চরফ্যাসনের ডালচর, দৌলতখানের নেয়ামতপুর চর, সদর উপজেলার চর চটকিমারা, রাজাপুর ও কানিবগার চরসহ  বিরোধপূর্ণ বিভিন্ন চরের সাধারণ মানুষ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে চরফ্যাসন উপজেলার মুজিব নগর ইউনিয়নের সিকদার চরে আলম বাচ্চু মেলকার নামের এক কৃষকের বাড়িতে হানা দেয় দুর্বৃত্তরা। কুপিয়ে হত্যা করে বাচ্চু মেলকারের ঘুমন্ত স্ত্রী বকুল বেগমকে (৩৫) এবং কুপিয়ে গুরুতর আহত করে বকুল বেগমের বড় বোন মুকুল বেগমকে। মুমূর্ষু মুকুল বেগমকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সংবাদ পেয়ে বুধবার (৩০ নভেম্বর) সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মৃতদেহ মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত গৃহবধূর স্বামী আলম বাচ্চু মেলকার জানান, চরের জমি নিয়ে শাজাহান স্বপন গ্রুপের সাথে তাদের বিরোধ রয়েছে। ওই বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ গ্রুপ তাকে হত্যা করতে আসে। কিন্তু তিনি মামলায় হাজিরা সংক্রান্ত কাজে চরফ্যাসন গিয়েছিলেন। রাতে বাড়িতে ফিরতে পারেননি। তাই চাচার বাড়িতে থেকে গিয়েছিলেন। বাড়িতে তার স্ত্রী এবং স্ত্রীর বড়বোন ছিলেন। বাচ্চু মেলকারের অভিযোগ দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করতে এসে তার ঘুমন্ত স্ত্রী এবং স্ত্রীর বোনকে কুপিয়েছে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আব্দুল মালেক জানান, সিকদার চরে প্রায় ১৭ শত একর জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ। বাচ্চু মেলকার গ্রুপ সরকার থেকে একসনা লিজ (ডিসিআর) নিয়ে জমি চাষাবাদ করছে। অপর পক্ষ শাজাহান স্বপন গ্রুপ আদালতের ডিক্রি দাবি করছে। এনিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছে। ঘটনাস্থল থেকে দুলারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল হক জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এই হত্যাকাণ্ড ব্যক্তগত জমির বিরোধের জের ধরে হতে পারে উল্লেখ করে ভোলার পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ভোলার চরাঞ্চলে এখন আর বড় ধরণের সংঘাত সংঘর্ষ ঘটার মত কোনো বিরোধ নেই। দুই একটি চরে বিচ্ছিন্ন কিছু বিরোধ রয়েছে। সেসব স্থানে সংঘাত এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সাহস২৪.কম/এমআই/এএম/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত