হত্যার পর এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়েছিল অঙ্গপ্রত্যঙ্গ

প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২২, ১৮:৩০

শেখ নাদীর শাহ্

গাজীপুরের কালীগঞ্জে নিখোঁজের তিন দিন পর সবুজ বার্নার্ড ঘোষাল (৩১) নামের এক গার্মেন্টস কর্মীর সাত টুকরো লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মূল হোতা শাহীনকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ সময় তার কাছ থেকে রক্তমাখা জামা কাপড় ও হত্যার আলামত জব্দ করা হয়েছে।

শনিবার (০১ অক্টোবর) দিবাগত-রাতে পিবিআইয়ের একটি দল সাতক্ষীরায় অভিযান চালিয়ে শাহীনকে গ্রেপ্তার করে। তাকে গাজীপুরে নিয়ে আসা হচ্ছে বলেও গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন পিবিআই সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তার শাহীন হত্যার কথা স্বীকার করেছে। হত্যায় ব্যবহার করা আলামত জব্দ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে, শনিবার (০১ অক্টোবর) দুপুরে তিন খণ্ড এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত একটি পায়ের কিছু অংশসহ লাশটির সাত খণ্ড উদ্ধার করা হয়। লাশের টুকরোগুলো কালীগঞ্জের পানজোরা গ্রামের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে রাখা হয়েছিল।

নিহত সবুজ কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের ভাসানিয়া গ্রামের অমূল্য বার্নার্ড ঘোষালের ছেলে। সবুজ পাশের পানজোড়া গ্রামের পূর্বাচল অ্যাপারেলস লিমিটেডে কোয়ালিটি চেকার (কিউ.সি) পদে চাকরিরত ছিলেন।

গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ছানোয়ার হোসেন জানান, শনিবার সকালে কালীগঞ্জ থানাধীন পানজোড়া গ্রামের পূর্বাচল অ্যাপারেলস লিমিটেডের ফ্যাক্টরির পাশের পুকুরে ও জঙ্গলে লাশের খণ্ডিত অংশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে কোমড় থেকে হাটু পর্যন্ত অংশ, আঙ্গুলবিহীন কাটা দুই হাত ও একটি জিন্সের প্যান্ট উদ্ধার করে। পরে লাশের অবশিষ্টাংশের খোঁজে তল্লাশি চালিয়ে বিকেলে তার দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন মাথা এবং কোমড় হতে গলা পর্যন্ত ও এক পায়ের কাটা দুইটি খণ্ড বিভিন্নস্থান থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এখনো পর্যন্ত অন্য পায়ের অংশ পাওয়া যায়নি। লাশের অবশিষ্টাংশ উদ্ধারে তল্লাশি চলমান রয়েছে। এ দিকে লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে সবুজের স্বজনরা ঘটনাস্থলে এসে লাশ শনাক্ত করেন। দুর্বৃত্তরা সুবজকে হত্যার পর লাশ টুকরো টুকরো করে কেটে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে রাখে বলেও জানান তিনি।

নিহতের পিতা অমূল্য ঘোষাল জানান, গত বুধবার (২৮ অক্টোবর) সকালে কর্মস্থল পূর্বাচল অ্যাপারেলস লিমিটেডের ফ্যাক্টরির উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয় সবুজ। তবে রাতে বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও সন্ধান না পেয়ে পরদিন কালীগঞ্জ থানায় সন্ধান চেয়ে জিডি করেন নিহতের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী।

সাহস২৪.কম/এএম/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত