মন্দিরের প্রাচীর নির্মাণে জলাবদ্ধতা, পানিবন্দী ২৩ পরিবার

প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৬:১৯

ভগবানের পূজা-আর্চনার জন্য লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের শাঁখাড়িপাড়ায় পূর্ব পুরুষরা নির্মাণ করেছিলো শ্রী শ্রী রক্ষাকালী মন্দিও, জমিও দান করেছিলেন। কিন্তু সেই মন্দিরের জন্যই বর্তমান প্রজন্মের ২৩টি পরিবার দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন।

মন্দির কমিটির সিদ্ধান্তে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করায় ২০ দিন ধরে পানিবন্দী অবস্থায় আছেন আশেপাশের ২৩টি পরিবার। বাড়ির পানিপ্রবাহের পথ বন্ধ করে মন্দিরের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করায় তারা এ দুর্ভোগে পড়েছেন। জলাবদ্ধতায় কারণে ওইসব পরিবারের উঠানে জমেছে হাঁটু পরিমাণ পানি। ফলে ময়লা পানি দিয়ে চলাচল করতে হয় তাদের। দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয়েছিলো এ জলাবদ্ধতা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জলাবদ্ধতার ছবি ও ভিডিও দিয়ে পোস্ট করায় মন্দির কতৃপক্ষ হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন পানিবন্দী বাসিন্দারা।
ভুক্তভোগীরা জনান, সীমানা প্রাচীর নির্মাণের সময় কথা ছিলো মন্দিরের কাজ যখন শুরু হবে তখন ড্রেন হবে। কিন্তু পৌর মেয়রের পরির্শন শেষে পৌর কতৃপক্ষ ড্রেনের কাজ করতে আসলে মন্দির কমিটির বাধার মুখে ড্রেনের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পাশে একটি পুকুর ছিল, তাও ভরাট করে ফেলেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। 
পৌর শাঁখাড়িপাড়া এলাকার বড় বাড়ির বাসিন্দা সুমা দত্ত জানান, ১২৫ বছরের পুরোনো এই মন্দির নির্মাণের সময় তাদের পূর্বপুরুষরা জমি দান করেছিলো। এর আগেও প্রবিত্রতার অজুহাতে মন্দিরের সমনে দিয়ে আমাদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে বিকল্প রাস্তা করে দিয়েছে। কথা ছিল ড্রেন হবে এখন তারা ড্রেনও করছে না, আমাদেরকেও ড্রেন করতে দিচ্ছে না। দুই দিনের বৃষ্টিতে ঘরের মেঝেতে পানি উঠে গেছে।

মন্দির কমিটির সভাপতি রবি দাস নন্দি বলেন, পবিত্রতা রক্ষার্থে মন্দিরের ভিতর দিয়ে পানি নিষ্কাশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমি মন্দিরের ভিতর দিয়ে কোন ড্রেন হতে দিবো না। প্রয়োজনে কমিটিসহ এলাকার সবাইকে নিয়ে বসা হবে সবাই যদি বলে তখনই ড্রেন হবে।

স্থানীয় কাউন্সিলর উত্তম দত্ত বলেন, পৌরসভা থেকে ড্রেনের কাজ করতে গেলে মন্দির কমিটির বাধার কারণে ড্রেন করা সম্ভব হয়নি। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়াতে আমি পৌরসভার লোকজন নিয়ে কিছুটা পানি নিষ্কাশন করেছি। বিষয়টি মেয়র সাহেবকে জানানো হয়েছে। অচিরেই একটা সমাধান হবে।

পৌর মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া বলেন, র্দীঘ দিন থেকে বড় বাড়িতে পানি নিষ্কাশনে সমস্যার অভিযোগ পেয়ে সরেজমিন পরির্দশন করেছি। পৌরসভা থেকে ড্রেনের জন্য অর্থ বরাদ্ধ হয়েছে। কিন্তু মন্দির এবং বাড়ি দুই পক্ষের জটিলতার জন্য ড্রেনের কাজ করা সম্ভব হয়নি। অচিরেই দুই পক্ষকে ডেকে সমঝোতার মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।

সাহস২৪/রকি/রাজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত