পঞ্চগড়ে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে ‘ধর্ষণের অভিযোগ’

প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:২৯

ডিজার হোসেন বাদশা, পঞ্চগড়

মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়িয়ে মিথ্যা বিয়ের কথা বলে এক তরুণীকে (২০) একাধিকবার ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে পঞ্চগড়ের এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। একই সাথে ধর্ষণের পর কৌশলে ধারণ করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।

অভিযুক্ত পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন মিন্টু। সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে মিন্টুকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সে দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের পশ্চিম তিস্তাপাড়া গ্রামের গোলাম রব্বানীর ছেলে।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে মনোয়ার হোসেন মিন্টুকে সাময়িক বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন যুবলীগের দেবীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রাজু আহম্মেদ মিঠু। শুক্রবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পঞ্চগড়ের বোদা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) মামলা করে ভুক্তভোগী তরুণী।

মামলার এজাহারে জানা যায়, মনোয়ার হোসেন মিন্টুর সাথে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয় ওই তরুণীর। এরপর আলাপচারিতার এক পর্যায়ে মিন্টু নিজেকে অবিবাহিত বলে প্রেমের প্রস্তাব দেন ভুক্তভোগীকে। এতে দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর বিভিন্ন সময় মিন্টু তাকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দেন।

গত বছরের ১৭ এপ্রিল বাড়ির অন্য সদস্যদের অনুপস্থিতে মিন্টু ভুক্তভোগীর বাসায় দেখা করতে যায়। মিন্টু তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে এবং তার ভিডিও মুঠোফোনে ধারণ করে রাখে। মিন্টু তার সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দেয়। চলতি বছরের গত ২৫ জুন মিন্টু পুনরায় বিয়ের জন্য কাজী অফিসে নেওয়ার কথা বলে তরুণীকে ডেকে নেয়। ফোন পেয়ে তার সাথে দেখা করতে গিয়ে অপরিচিত একটি বাসায় নিয়ে যায় মিন্টু। সেখানে পুনরায় ধর্ষণ করে। এরপর আবার যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় মিন্টু। পরে কোন বিষয় বুঝতে না পেরে পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি অবহিত করে বোদা থানায় অভিযোগ দায়ের করে ভুক্তভোগী তরুণী।

এদিকে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বহিস্কৃত যুবলীগ নেতা মনোয়ার হোসেন মিন্টু বলেন, ওই তরুণীকে হলফনামার মাধ্যমে এফিডেভিটে গত ৩০ জুলাই বিয়ে করেছেন এবং তারা বিবাহিত স্বামী-স্ত্রী।

যুবলীগের দেবীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রাজু আহম্মেদ মিঠু জানান, চিলাহাটি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন মিন্টুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এতে করে সংগঠনের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে। কি কারণে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে এবং কেন তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না তার জবাব চেয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে নোটিশ দেওয়া হয়। আগামী তিন দিনের মধ্যে উপজেলা যুবলীগ কার্যালয়ে দাখিল করার নির্দেশ দিয়ে সাময়িক ভাবে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় জানান, মামলা দায়েরের পর থেকে সকল আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সাহস২৪.কম/এএম/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত