ধরলার তীব্র ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে ফুলবাড়ির বিস্তৃর্ণ এলাকা

প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:৪৩

তানভির হোসাইন রাজু, কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে ধরলা নদীর তীব্র ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে বিস্তৃর্ণ এলাকা। বন্যা পরবর্তী ধরলা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্ব ধনিরাম ও পশ্চিম ধনিরাম গ্রামের যাতায়তের রাস্তা, বসতভিটা, ফসলি জমি। ব্যাপক হারে কমছে কৃষকদের চাষাবাদের জমি। ধরলার কড়াল গ্রাসে দিনেদিনে পাল্টে যাচ্ছে পূর্ব ধনিরাম ও পশ্চিম ধনিরাম গ্রামের মানচিত্র।

বুধবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, ধরলার তীব্র ভাঙ্গনে গ্রাম দুটির বাসিন্দাদের বসতবাড়ি, যাতায়তের রাস্তা ও ফসলি জমি নদীর তীব্র ভাঙ্গনে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

ভাঙ্গন কবলিত পশ্চিম ধনিরাম গ্রামের বাসিন্দা সিরাজুল ও মজিবর রহমান বলেন, ধরলার অব্যাহত ভাঙ্গনের ফলে আমরা সর্বশান্ত হয়ে যাচ্ছি। ৮দিনের মধ্যে আমাদের গ্রামের ৮ জনের বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এখানকার শত শত একর আবাদি জমি ধরলার পেটে চলে গেছে। আমাদের যাতায়তের প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গনের হুমকিতে রয়েছে চর ধনিরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। 

ধরলার ভাঙ্গনে বসতবাড়ি হারানো হাফেজা বেগম বলেন, দীর্ঘদিনেও ভাঙ্গন রোধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলে আমরা আজ নিঃস্ব। আমার স্বামীর নিজস্ব কোন জমি নাই। মামাশ্বশুর আমাদের বাড়ি করার জন্য ১০ শতাংশ জমি দিয়েছে তাও নদীতে বিলীন হয়েছে। সন্তানদের নিয়ে এখন থাকব কোথায়। নুর মোহাম্মদ (৬৫) বলেন, আমার সাত বিঘা জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। পূর্ব ধনিরাম গ্রামের জাইদুল হক বলেন, নদীর ভাঙ্গনের তীব্রতা খুব বেড়েছে। ভাঙ্গন ঠেকাতে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আমাদের অনেকের ভিটেবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে ফুলবাড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন দাস বলেন, ওই এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে ভাঙ্গনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাহস২৪.কম/এএম/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত