লক্ষ্মীপুরে তিন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থীরা জয়ী

প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২২, ২০:২২

লক্ষ্মীপুর তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। ২৭ জুলাই বুধবার লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার  দিঘলী, রামগতি উপজিলার বড়খেড়ী এবং চর আবদুল্যা ইউনিয়নে সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে ভোটগ্রহণ।

এরমধ্যে সদরের দিঘলী ইউনিয়নে উপ-নির্বাচনে সালাউদ্দিন চৌধুরী জাবেদ, রামগতির বড়খেরী ইউনিয়নে হাসান মাকসুদ মিজান ও চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নে কামাল উদ্দিন মঞ্জুর জয়ী হয়েছেন। তারা সকলেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

বুধবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যায় সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা স্বপন কুমার ভৌমিক ও রামগতি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী হেকমত আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রামগতি উপজেলার বড়খেরী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান মাকসুদের সঙ্গে চশমা প্রতীকে আবদুল খালেদ মাসুদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। অন্যদিকে একই উপজেলার চর আবদুল্লাহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামাল উদ্দিন মঞ্জুর সঙ্গে আনারস প্রতীকে বেলাল হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

তিন ইউনিয়নের কিছু কিছু ভোট কেন্দ্রের বাহিরে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় ভোট কেন্দ্রে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা ছাড়াই স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে ভোটারা। একাধিক ভোটার বলেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পেরে খুশি তারা।

এদিকে রামগতি উপজেলার ৫নং চর আবদুল্যা এই ইউনিয়নটি মূল ভূখণ্ড বিচ্ছিন্ন দ্বীপ-অঞ্চল হওয়াতে গত কয়েকদিন থেকে ভোটার এবং প্রার্থীরা নির্বাচনে সহিংসতার আশংকা করে আতঙ্কে থাকলেও প্রশাসনের কঠোরতায় কোন প্রকার সহিংসতা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিয়েছেন ভোটারা। এরমধ্যে ৯ নম্বর ওয়ার্ড কেন্দ্রকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বলাহলেও এই কেন্দ্রও শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটগ্রহণ শেষ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। 

৯ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য প্রার্থী মিল্লাদ হোসেন (তালা প্রতীক) বলেন স্থানীয় ও বহিরাগত সন্ত্রাসী হামলা, ব্যালট ছিনতাইসহ নানাবিধ আতঙ্কে ছিলাম। তবে প্রশাসনের অনড় উপস্থতিতে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কোন প্রকার সহিংসতা ছাড়াই ভোটগ্রহণ করেছে।

স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বেল্লাল হোসেন (আনারস প্রতীক) বলেন- ৯ নম্বর ওয়ার্ডে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। এই জন্য প্রশাসনকে এবং গণমাধ্যম কর্মীদের ধন্যবাদ জানালেও ৪ এবং ৬নং ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী বিশৃঙ্খলা করছেন বলে অভিযোগ করেন। পরর্বতীতে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে তার উপর হামলার ঘটনা ঘটে।
বড়খেড়ীতে তেমন কোন সহিসংতার খবর পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে সদরের দিঘলী উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলতাফ হোসেনে উপরও হামলার ঘটনা ঘটেছে ভোট শুরু হওয়ার আগমুহূর্তে। তিনি আহত হয়ে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, দিঘলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন স্ট্রোকজনিত কারণে মৃত্যু হলে ৬ জুন উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। একই সাথে রামগতি উপজেলার বড়খেরী এবং চর আবদুল্যা (ইউপির) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। তফসিল অনুযায়ী ২৭ জুলাই দিঘলী ও বড়খেড়ীতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) এবং চর আবদুল্যাতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত