স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সরকারের পরিকল্পনা

প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২২, ১৩:৪৫

স্বাস্থ্য ডেস্ক
ছবি : স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সরকারের পরিকল্পনা।

জনগণের দোরগোড়ায় টেকসই স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে দেশের স্বাস্থ্য খাতকে শক্তিশালী করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ৮টি বিভাগীয় হাসপাতালে ১০০ শয্যার ক্যান্সার ইউনিট স্থাপন করা হচ্ছে। এছাড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫০ শয্যার ডায়ালাইসিস ইউনিট এবং জেলা সদর হাসপাতালে ১০ শয্যার ডায়ালাইসিস ইউনিট স্থাপনের প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজও চলছে।

সরকারি নথি অনুযায়ী, সৌদি সরকারের সহায়তায় একটি প্রকল্পের আওতায় রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে বার্ন ইউনিট স্থাপন শুরু করেছে সরকার। এছাড়া জেলা সদর পর্যায়ে ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ‘মেডিকেল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট’ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে।

নথিতে বলা হয়েছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ৫ হাজার শয্যার বিশ্বমানের আধুনিক হাসপাতালে পুনর্নির্মাণ ও রূপান্তরের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রকল্পের বাস্তবায়ন চলছে। এছাড়া পাবনা মানসিক হাসপাতালকে আন্তর্জাতিক মানের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ এবং প্রতিটি বিভাগীয় পর্যায়ের মেডিকেল কলেজে পূর্ণাঙ্গ মানসিক স্বাস্থ্য ইউনিট স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।

মহাখালীতে বঙ্গবন্ধু হেলথ সিটি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। বর্তমানে মহাখালীতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ১৭টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়া সেখানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অফিস, কমিউনিটি ক্লিনিক অফিস, বিএমআরসি ভবনসহ বেশ কিছু স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল রয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, হেলথ সিটি বাস্তবায়িত হলে এখানে আরও হাসপাতাল গড়ে উঠবে।

সরকার অটিজম ও অটিস্টিক শিশুদের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরইমধ্যে ১ লাখ ৩৩ হাজার অটিস্টিক শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অটিস্টিক শিশুদের নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য সরকার ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। ঢাকা শিশু হাসপাতালসহ ১৬টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ৯টি জেলা সদর হাসপাতালে একই কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

নথিতে আরও বলা হয়েছে, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিবন্ধীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য বিদ্যমান ১০৩টি কেন্দ্রের পাশাপাশি নতুন ২১১টি কেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলছে। এছাড়া ঝুঁকিতে থাকা প্রতিবন্ধীরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৪০টি মোবাইল থেরাপি ভ্যানের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন।

‘ইউনিভার্সাল হেলথ কেয়ার কভারেজ’ অর্জনের লক্ষ্যে ‘হেলথ প্রোটেকশন ল’ প্রণয়নের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য ‘ইনফেকশন প্রোটেকশন গাইডলাইন’ তৈরি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ‘সরকারি আউটডোর ডিসপেনসারি অপারেশনাল গাইডলাইন’ চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর আওতায় কমপক্ষে টি সরকারি আউটডোর ডিসপেনসারি চলমান অর্থবছরে কাজ শুরু করবে।

করোনাভাইরাসসহ সব ধরনের ভ্যাকসিন তৈরির জন্য দেশে একটি উচ্চমানের ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নির্দেশনা অনুযায়ী, দেশের শতভাগ রাষ্ট্র মালিকানাধীন এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি গোপালগঞ্জে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় একটি অত্যাধুনিক ভ্যাকসিন উৎপাদন কারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এটি একটি আন্তর্জাতিক মানের ভ্যাকসিন গবেষণা এবং উৎপাদন কেন্দ্রে রূপান্তরিত হবে যাতে ভ্যাকসিনের জন্য বিদেশী উৎসের ওপর নির্ভর করতে না হয়।

সাহস২৪.কম/এএম/এসএস

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত