কোরবানির পশু কেনাবেচায় ডিজিটাল হাট চালু

প্রকাশ | ০৪ জুলাই ২০২২, ১২:৫২

অনলাইন ডেস্ক

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে কোরবানির পশু কেনাবেচায় জনসমাগম ও ভোগান্তি কমাতে বিগত দু’বছরের ন্যায় এবারও অনলাইন `ডিজিটাল হাট-২০২২' (digitalhaat.gov.bd) চালু করা হয়েছে। রবিবার (০৩ জুলাই) এটুআই’র একশপ ও ই-ক্যাবের আয়োজনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় অনলাইনে আয়োজিত ডিজিটাল হাটের উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক। এই সময় প্রধান অতিথি হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম যুক্ত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল ব্যবস্থা নিয়ে একসময় যারা হাসাহাসি করতো তারাও এখন জিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা নিচ্ছে। এখন আমাদের এই ডিজিটাল ব্যবস্থাকে টেকসই করার দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এবার দেশে ৯৭ লাখ ৭৫ হাজার কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে এবার কোরবানিযোগ্য এক কোটি ২১ লাখ ২৪ হাজার ৮৮৯ পশু প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, কোরবানির পশু ব্যবস্থাপনা নিয়ে একসময় নানা বিড়ম্বনা ও প্রতিকূল পরিস্থিতি ছিল। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তির আধুনিকায়নের মাধ্যমে সে পরিস্থিতি অনেক সহজ হয়ে গেছে। আমাদের চালু করা অনলাইনে ডিজিটাল হাট থেকে পশু ক্রয়ের পর যদি কারো মনোপুত না হয়, সেক্ষেত্রে তার প্রতিকারের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। আর্থিক লেনদেনের জন্য স্মার্ট কার্ডসহ অন্যান্য অ্যাপসের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। অনলাইনে গবাদিপশু ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে যাতে কেউ প্রতারণার শিকার না হন সেটি দৃষ্টি দেওয়ার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী। এছাড়া ডিজিটাল হাটের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে সম্মিলিতভাবে সেটি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান, যাতে অনলাইনে কেনাকাটার করার বিষয়ে মানুষের আস্থা বাড়ে।

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক বলেন, সরকারের ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ ও অন্যান্য ডিজিটাল সেবার মান উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে ইউনিয়ন পর্যায়ে ডিজিটাল নেটওয়ার্ক বিস্তৃত হয়েছে। লেনদেনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে হয়রানি ও দুর্নীতিমুক্ত করতে ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরি করার জন্য চারটি ডিজিটাল প্রযুক্তি উন্নয়ন করা হয়েছে। এসব প্রযুক্তিগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা ও আস্থা আরও বাড়বে।

তিনি বলেন, ‘হার পাওয়ার’ নামের একটি প্রকল্পের আওতায় ই-কমার্স উদ্যোক্তা বিশেষ করে ২৫ হাজার নারী ই-কমার্স উদ্যোক্তা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশব্যাপী গত দু’বছরের ডিজিটাল হাট যে সাড়া ফেলেছে তারই ধারাবাহিকতায় এই বছর সরকারি প্ল্যাটফর্মের (gov.bd) আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে এবং একে বছরব্যাপী পশু ক্রয় বিক্রয়ের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে তৈরি করা হবে।

উদ্বোধন শেষে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী ডিজিটাল হাট থেকে একটি কোরবানির গরু ক্রয় করেন। পরে গরুটি সিলেটের বন্যা কবলিত এলাকার দুস্থ মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য ই-ক্যাব পরিচালিত প্রতিষ্ঠান ‘মানবসেবা’-তে দান করেন।

এটুআই’র ন্যাশনাল কনসালটেন্ট শাহরিয়ার হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার এবং ডিজিটাল হাট ২০২২ প্ল্যাটফর্মের বিস্তারিত উপস্থাপন করেন এটুআই’র হেড অব ই-কমার্স রেজওয়ানুল হক জামি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে প্রান্তিক পর্যায়ের খামারি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি), বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন, আইসিটি বিভাগ, এটুআই, একশপ, ও ই-ক্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

সাহস২৪.কম/এএম/এসকে.