জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয়: র‍্যাব ডিজি

প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২২, ১৬:২৩

সাহস ডেস্ক

জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয় বলে মন্তব্য করেছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেছেন, ‌‘আমরা জঙ্গিবাদ দমনের ধারাবাহিকতা ধরেও রেখেছি। সাইবার জগতে জঙ্গি কার্যক্রমের বিষয়ে নজরদারি রাখছি, সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একসঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করছি। এ কারণে জঙ্গিবাদ এখন তাদের সক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারছে না। তারপরও আমরা কিন্তু আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। সব সময় সতর্ক আছি।’

শুক্রবার (১ জুলাই) গুলশানের হলি আর্টিজান হামলার ষষ্ঠ বার্ষিকী উপলক্ষে দীপ্ত শপথ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আজ থেকে ৬ বছর আগে ২০১৬ সালের পহেলা জুলাই হলি আর্টিজানে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে এতে ৩ বাংলাদেশিসহ ২০ জন নিহত হন। যারা মারা গিয়েছেন আমরা তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা ও আত্মার শান্তি কামনা করছি। ওই সময় দুজন পুলিশ অফিসার বীরত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন। তিনি বলেন, র‍্যাব সব সময় জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে দৃঢ়ভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। র‍্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান কর্নেল আজাদ সিলেটে জঙ্গিবাদ বিরোধী অভিযানে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিহত হন। আমি তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি।

র‍্যাব এ পর্যন্ত ৩ হাজার জঙ্গি গ্রেপ্তার করেছে উল্লেখ করে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, হলি আর্টিজানের পর আমরা দেড় হাজারের বেশি জঙ্গি গ্রেপ্তার করেছি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মূল পরিকল্পনাকারী আমির সারোয়ার জাহান, অর্থায়ন ও পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত শরিফুল ইসলাম খালেক ও মামনুর রশিদ রিপনের গ্রেপ্তার। তিনি বলেন, ‘হলি আর্টিজানের ঘটনার পর ১২ ঘণ্টার মধ্যে আমরা ওই এলাকার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই। অভিযান পরিচালনা করার মতো একটি পরিবেশ সৃষ্টি করি। হলি আর্টিজানের ঘটনা যে দিন সংঘটিত হয়, সে দিন জঙ্গিরা অনলাইনে লাইভ করেছিল। তাদেরও আমরা চিহ্নিত করেছি এবং ব্যবস্থা নিয়েছি।’ সরকারের জিরো টলারেন্সের নীতির অংশ হিসেবে সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করে জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক ও আস্তানা ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়ার কথাও উল্লেখ করে র‍্যাব ডিজি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন বাহিনী আমরা একসঙ্গে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করি।’

উল্লেখ্য, হলি আর্টিজান হামলায় তৎকালীন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রবিউল ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন নিহত হন। তাদের স্মরণে গুলশান মডেল থানার সামনে দীপ্ত শপথ নামে এ দুই কর্মকর্তার ভাস্কর্য বানানো হয়। প্রতি বছর হলি আর্টিজানের হামলার বার্ষিকীতে দীপ্ত শপথ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় তাদের স্মরণে।

সাহস২৪.কম/এআর/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত