পার্বত্য এলাকায় শিক্ষার মান উন্নয়নের উদ্যোগ নেবে সরকার

প্রকাশ : ২৫ মে ২০২২, ১৯:২১

সাহস ডেস্ক

পার্বত্য এলাকায় নতুন নীতিমালা তৈরির ভিত্তিতে শিক্ষার মান উন্নয়নে পদক্ষেপ নেবে সরকার। এ উদ্যোগের ফলে এ এলাকায় ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা, প্রতিষ্ঠানের ধরন, কী ধরনের লেখাপড়ার প্রয়োজন এগুলো যাচাই করা হবে। এতে শিক্ষাব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর মাধ্যমে শিক্ষার মান উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে। শিক্ষাবিদরা বলছেন, ‘সরকারের এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে পার্বত্য এলাকার শিক্ষাব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন আসবে।’

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) রূপক রায় গণমাধ্যমকে সরকারের এ উদ্যোগের কথা জানান। এ বিষয়ে পার্বত্য এলাকার শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়নে গঠিত কমিটির সভাপতি ও মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, ‘যোগাযোগব্যবস্থাসহ নানা কারণে এখনও পার্বত্য এলাকায় শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় পিছিয়ে রয়েছে। এর থেকে উত্তরণে আমরা বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এর অংশ হিসেবে পার্বত্য এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিওভুক্তিসহ শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য একটি নীতিমালা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারিক আহসান বলেন, ‘সরকারের এ উদ্যোগ অবশ্যই ইতিবাচক। তবে এটা যে শুধু পার্বত্য এলাকার জন্য দরকার তা কিন্তু নয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গার ভিন্ন ভিন্ন চাহিদা ও পরিবেশ রয়েছে, এগুলো চিহ্নিত করে মাউশির একটি ক্রাশ প্রোগ্রাম নেওয়া উচিত। পার্বত্য এলাকা এর মধ্যে অন্যতম। তিনি বলেন, ‘পার্বত্য এলাকার জীবনাচরণের যে বৈচিত্র্য রয়েছে, তা কখনই ঢাকার শিক্ষার্থীদের মতো হবে না। এই যে পরিবর্তিত পরিবেশ, সেখানে শিক্ষাকে সংযুক্ত করতে হলে অবশ্যই আলাদা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।’ এ উদ্যোগ শুধু পার্বত্য এলাকায় নয়, দেশের অন্য জায়গাতেও বাস্তবায়নের আহ্বান জানান তিনি।

একই ধরনের মন্তব্য করেন জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির সদস্য অধ্যাপক শেখ একরামুল কবির। তিনি বলেন, ‘এ উদ্যোগ অবশ্যই ইতিবাচক। কেননা যোগাযোগব্যবস্থাসহ নানা কারণে শুধু পার্বত্য এলাকার শিক্ষার্থীরা এখনও অনেক পিছিয়ে রয়েছে। তাদের সমানভাবে এগিয়ে নিতে এ উদ্যোগ কার্যকর ভূমিকা রাখবে এবং পার্বত্য এলাকায় শিক্ষাব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন আসবে।’

জানা যায়, সরকারের এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে ১২ সদস্যের কমিটিও গঠন করেছে মাউশি। এতে সভাপতি হিসেবে আছেন মাউশির পরিচালক (কলেজ ও সাধারণ প্রশাসন) অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী। সদস্য সচিব হিসেবে আছেন মাউশির উপপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আনিকা রাইসা চৌধুরী। আরও আছেন মাউশির উপপরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস, উপপরিচালক (কলেজ-১) মো. ওয়াহিদুজ্জামান, উপপরিচালক (কলেজ-২) মো. এনামুল হক হাওলাদার, উপপরিচালক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন, উপপরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. মোনালিসা খান, উপপরিচালক (শারীরিক শিক্ষা) আক্তারুজ্জামান ভূঁইয়া, উপপরিচালক (মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন) সেলিনা জামান, উপপরিচালক (প্রশাসন, সেসিপ) প্রফেসর ড. সামসুন নাহার, উপপরিচালক (ইকুইটি, সেসিপ) মো. আমিনূল ইসলাম, উপপরিচালক (প্রোগ্রাম, সেসিপ) শিপন কুমার দাস।

সাহস২৪.কম/এআর/এসটি/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত