কক্সবাজারে অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ না করার অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ : ১৮ মে ২০২২, ১৫:৩১

সাহস ডেস্ক

কক্সবাজারে অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ না করতে সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘কক্সবাজারকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করা হবে। সে জন্য আমি সবাইকে বিশেষ করে কক্সবাজারবাসীকে অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ না করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’

বুধবার (১৮ মে) সকালে কক্সবাজারের বীর মুক্তিযোদ্ধা মাঠে আয়োজিত গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃর্পক্ষ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নবনির্মিত বহুতল ভবন উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, তার সরকার কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং জীববৈচিত্র্য অটুট রেখে এর সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শুধু ইট-কাঠ দিয়েই নয়, প্রকৃতির সঙ্গে একীভূত করে সমুদ্র সৈকতের উন্নয়ন কর্মসূচি হাতে নেব। আমাদের সেখানে গাছ এবং ছায়া রাখতে হবে। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে আশপাশের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিশ্চিত করার লক্ষে ইতোমধ্যে একটি মাস্টার প্লান তৈরি করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘কক্সবাজারকে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষার জন্য সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি ঝাউ গাছের ঘন বন তৈরি করতে হবে। যদি এটি একটি পরিকল্পিত উপায়ে করা যায় তবে ১২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র সৈকতে বন তৈরি করা কঠিন হবে না। যদি এটি একটি পরিকল্পিত উপায়ে করা যায় তবে ১২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র সৈকতে বন তৈরি করা কঠিন হবে না।  ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে নিজেদের পরিবেশ রক্ষায় আমাদের এটা করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘যেহেতু এটা আন্তর্জাতিক এয়ার রুটে পড়ে, তাই কক্সবাজার বিমানবন্দরকে একটি আন্তর্জাতিক মানের বিমান বন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠায় সরকারের কাজ চলমান রয়েছে। এই বিমানবন্দর যখন সম্পূর্ণ হবে তখন পশ্চিমা দেশগুলো থেকে প্রাচ্যে যাতায়াতকারী বিমানগুলো এখান থেকে রিফুয়েলিং করার মাধ্যমে এটি একটি রিফুয়েলিং কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রিফুয়েলিংয়ে বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন সময়ে অগ্রাধিকার পায়। এক সময় হংকং ছিল, এর পর থাইল্যান্ড অথবা সিঙ্গাপুর এখন দুবাই। কিন্তু এখন কক্সবাজারই হবে আন্তর্জাতিক আকাশ পথে রিফুয়েলিং এর একটা কেন্দ্র। পাশাপাশি এখানে আমরা  ক্রিকেট ষ্টেডিয়াম করেছি, ফুটবল ষ্টেডিয়াম করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক খেলাধূলা আয়োজনের সব ধরনের ব্যবস্থা এখানে থাকবে। মেরিন ড্রাইভ যেটি কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত করা হয়েছে সেটা একেবারে চট্টগ্রাম পর্যন্ত করা হবে।’ অনুষ্ঠানে কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃর্পক্ষের কর্মকান্ড এবং নব-নির্মিত ভবনের ওপর একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

সাহস২৪.কম/এএম/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত