ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে খাদে পড়ে দুই বন্ধুর মৃত্যু

প্রকাশ : ১৪ মে ২০২২, ১৩:৩৫

সাহস ডেস্ক

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে খাদে পড়ে দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৩মে) দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার পুরাবাজার এলাকার এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় নির্মাণাধীন সেতুর খাদে পড়ে এদের মৃত্যু হয়। এতে আরেকজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন- মো: জিসান (১৯) ও ফাহিম (১৭)। জিসান মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তর চরমসুরা এলাকার মো: মানিক মিয়ার ছেলে। ফাহিম একই এলাকার সরবতুল্লার ছেলে। জিসান এবার স্থানীয় একটি উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেছেন। ফাহিম দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

এ ঘটনায় আহত জাহিদ হাসান (১৬) ও নিহত ব্যক্তিদের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, নির্মাণাধীন সেতুর সামনে কোনো সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড ছিল না। সেতু সচল ভেবে গাড়িটি সেতুর ঢালে উঠিয়ে দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উত্তর চরমসুরা গ্রামের মানিক মিয়ার জামাতা লিখন ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন। পরে মানিক মিয়ার ছেলে জিসান তার দুই বন্ধু ফাহিম ও জাহিদকে নিয়ে গতকাল রাতে ঘুরতে বেন হন। রাত সাড়ে তিনটার দিকে ওই তিন বন্ধু টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পুরাবাজারের কাছাকাছি আসলে সেখানে নির্মাণাধীন সেতুর নিচে ব্যক্তিগত গাড়িটি পড়ে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো: তোফাজ্জল হোসেন জানান, ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে ওই তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে জিসান ও ফাহিম আনার আগেই মারা যান। তবে জাহিদ সুস্থ রয়েছে।

আহত জাহিদ বলে, রাতে তারা গাড়ি নিয়ে বের হয়। জিসান গাড়ি চালাচ্ছিলেন। পুরাবাজারের কাছাকাছি এলে নির্মাণাধীন সেতুর ওপর উঠিয়ে দেন। নির্মাণাধীন সেতুর কোনো সাইনবোর্ড ছিল না। তারা ভেবেছিল, সেতুটির সচল আছে। কিন্তু গাড়ি পুরাখালে পড়ে যায়। এরপর তার আর কিছু মনে নেই।

জিসানের মামা চান মিঞা বলেন, ‘সেতু কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে দুটি তাজা প্রাণ চলে গেল। সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড না থাকায় এর আগেও ওই সেতুতে দুর্ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে টঙ্গিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা সোহেব আলী জানান, ব্যক্তিগত গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এ সময় এলাকাবাসীর সহায়তায় তিনজনকে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর একজন মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, নিহতদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল কিনা এবং তারা সেখানে কী করছিল তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সাহস২৪.কম/তানভীর/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত