হাতিয়ায় বড় ভাইকে পিটিয়ে জেলে গেলেন প্রধান শিক্ষক

প্রকাশ : ০৮ মে ২০২২, ১৯:১৬

তাজুল ইসলাম তছলিম, হাতিয়া

নোয়াখালী হাতিয়ায় নিজের আপন বড় ভাইকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে আহাম্মদ উল্লা নামে এক প্রধান শিক্ষককে জেলে পাটিয়েছে পুলিশ। রবিবার (০৮ মে) দুপুরে হাতিয়া থানা পুলিশ আটক এই প্রধান শিক্ষককে কোট হাজতে পাঠান। এর আগে শনিবার (০৭ মে) রাতে তাকে সোনাদিয়া ইউনিয়নের মাইজদি বাজার থেকে আটক করা হয়। আটক আহাম্মদ উল্লা হলো সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পূর্ব চরচেঙ্গা গ্রামের মৃত শামছল হকের ছেলে। সে একই এলাকার মাইজদি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বড় ভাইয়ের ছেলের করা মামলায় তাকে আটক করা হয়।

মামলার এজহার ও থানা পুলিশের সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে জায়গা জমি নিয়ে বড় ভাই ইসমাইল হোসেনের সাথে তাদের বিরোধ চলে আসছে। শনিবার দুপুরে বড় ভাই ইসমাইলের পরিবারের সদস্যরা বেড়াতে যায়। এ সময় ইসমাইল ও তাঁর স্ত্রী বাড়িতে একা অবস্থান করে ছিলেন। এই সুযোগে কয়েকজন ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে আহাম্মদ উল্লা ও তার ভাই ইউছুফ হামলা করে ইসমাইল ও তার স্ত্রীর উপর। তারা ঘরে প্রবেশ করে জোরপূর্বক জমির দলিলসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পত্র চিনিয়ে নেয়। বাধা দিলে তারা ইসমাইল ও তার স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করে। এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী স্থানীয় ইউপি সদস্য সাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে ঘটনার সাথে জড়িত ৬ জনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আহত ইসমাইল ও তার স্ত্রীকে পরিবারের সদস্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

পরে ইসমাইলের বড় ছেলে নুরুল আলম বাদি হয়ে প্রধান শিক্ষক আহাম্মদ উল্লাসহ ৭জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করে। পুলিশ রাতে অভিযান করে আহাম্মদ উল্লাকে আটক করে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠান। এদিকে বড় ভাইকে পিটানোর অভিযোগে প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনায় শিক্ষক সমাজের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অনেকের মতে এই ভাবে বড় ভাইয়ের উপর হামলা করা ঠিক হয়নি।

এ ব্যাপারে হাতিয়া থানা পরিদর্শক ( তদন্ত) কাঞ্চন কান্তি দাশ বলেন, এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় প্রধান শিক্ষককে আসামি করা হয়েছে। রাতে তাকে আটক করা হয়েছে। অন্য আসামিদের আটক করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত