শাহজাহানপুরে জোড়া খুন: ‘মাস্টারমাইন্ড’সহ গ্রেপ্তার ৪

প্রকাশ : ০২ এপ্রিল ২০২২, ১৯:১৮

সাহস ডেস্ক

রাজধানীর শাহজাহানপুরে গুলি করে আওয়ামী লীগের এক নেতা ও এক কলেজছাত্রীকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত মাস্টারমাইন্ডসহ আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কথিত ‘মাস্টারমাইন্ড’ ওমর ফারুক (৫২), আবু সালেহ শিকদার (৩৮), নাসির উদ্দিন (৩৮) ও মোরশেদুল আলম (৫১)।

র‌্যাবের মতে, মতিঝিল এলাকায় একাধিক অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই রাজনীতিকের মধ্যে দীর্ঘদিনের শত্রুতার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার (১ এপ্রিল) রাতে র‍্যাব রাজধানীর মুগদা, শাহজাহানপুর ও মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

র‌্যাব সদরদপ্তরের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি ইমরান খান জানান, র‍্যাব সদস্যরা রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করেছেন। আমরা তাদের কাছ থেকে অপরাধে ব্যবহৃত একটি বাইক, নগদ সাড়ে তিন লাখ টাকা এবং কয়েকটি মোবাইল ফোন জব্দ করেছি।

র‌্যাব জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা টিপু হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, মতিঝিল এলাকায় চাঁদা আদায় ও স্কুল-কলেজে ভর্তির চক্র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই রাজনীতিকের মধ্যে দীর্ঘদিনের শত্রুতা ছিল।

র‍্যাব দাবি করেছে, তদন্তের মাধ্যমে তারা মুসা নামে একজনকে শনাক্ত করেছে যিনি দুবাইতে অবস্থান করছেন।

মঈন বলেন, ‘তিনি (মুসা) সম্ভবত টিপুকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। মুসার গ্রেপ্তারই শুধু বড় রহস্য উদঘাটন করতে সাহায্য করবে এবং কে আসলে টিপুকে গুলি করে হত্যা করেছে তা জানা যাবে।’

র‌্যাব পরিচালক বলেন, ‘গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা চলছে।’

গত ২৪ মার্চ রাতে ইসলামি ব্যাংকের সামনে গুলিতে নিহত হন আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু এবং কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতি।

নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপু আওয়ামী লীগের মতিঝিল থানা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সামিয়া আফরিন প্রীতি বদরুন্নেসা সরকারি কলেজের ছাত্রী ছিলেন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে টিপুর গাড়ির চালকও আহত হন।

পুলিশ জানায়, জাহিদুল গাড়িতে করে এবং প্রীতি রিকশায় করে বাসায় ফেরার সময় রাত সোয়া ১০টার দিকে  ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

তারা সবাই যানজটে আটকা পড়েছিলেন। এ সময় মুখে মাস্ক ও হেলমেট পরা এক ব্যক্তি তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

পরদিন অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে জোড়া খুনের ঘটনায় মামলা হয়।

গত ২৭ মার্চ বগুড়া থেকে এ ঘটনার প্রধান আসামি আকাশকে (৩৪) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ঢাকার একটি আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আকাশের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এছাড়া বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর কমলাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় দ্বিতীয় সন্দেহভাজন আরফানউল্লাহ দামালকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়ান্দা শাখা (ডিবি)। পরের দিন শুক্রবার তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার একটি আদালত।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত