যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা জঙ্গিবাদকে উৎসাহিত করবে: সেতুমন্ত্রী

প্রকাশ | ১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬:৩৯ | আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭:১৭

অনলাইন ডেস্ক

বিজয়ের মাসে র‌্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা জঙ্গিবাদকে উৎসাহিত করবে, তবে আগামী নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমন্ডলীর সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বিজয়ের মাসে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা জঙ্গিবাদকে উৎসাহিত করবে, তবে এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না। নির্বাচনে প্রভাব ফেলার তো কোনো কারণ নেই। আমাদের নির্বাচন আমরা করব। যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শে নির্বাচন করব নাকি?

যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞায় কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র দেখছেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রের বিষয় তো অবশ্যই আছে। আমাদের এই বিজয়ের মাসে যুক্তরাষ্ট্রের যে বক্তব্য সেটা আমাদের দেশের জঙ্গিবাদ, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক ও সন্ত্রাসীদেরকে উৎসাহিত করছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রতি প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবকে আমি পাল্টা প্রশ্ন করতে চাই। মুরাদ যা বলেছে, তার চেয়েও ঘৃণ্য ও জঘন্য কথা বলার পরে আলালকে তিনি সমর্থন করেছেন। এটা হলো আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাদের পার্থক্য। এত অশ্রাব্য ও অশোভন বক্তব্য কি করে মির্জা ফখরুল সমর্থন করেন? আমরাতো মুরাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। কিন্তু তারা আলালকে বহিস্কারতো দূরের কথা নৈতিক সমর্থন দিয়েছেন।

মুজিববর্ষে প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতাদের সংবর্ধনা কর্মসূচির বাস্তবায়ন সম্পর্কে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, মুজিববর্ষ শেষ হয়ে যায়নি। আগামী মার্চ পর্যন্ত চলবে। এর মধ্যে আমাদের অনেক কাজ হয়ে গেছে। লেখা সংগ্রহ করা, জেলা পর্যায় থেকে প্রবীণ তালিকা নেওয়া হয়ে গেছে। এখন আমাদের সুবিধামতো সময়ে মার্চের মধ্যে আয়োজন করব।

১৬ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর পরিচালনায় যে শপথ অনুষ্ঠান হবে- তাতে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শুধু ঢাকায় নয়, একইসঙ্গে সারাদেশে এই চেতনা ছড়িয়ে দিতে চাই। শুধু আমাদের নেতাকর্মীরা নয়, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের, অসাম্প্রদায়িক চেতনার সব শ্রেণি-পেশার জনগণকেও আমরা এতে অংশগ্রহণে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠান, এটি জাতির অনুষ্ঠান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এ বিষয়ে বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকরা সমন্বয় করবেন। ১৮ ডিসেম্বর আমরা একটি বিজয় শোভাযাত্রার আয়োজন করেছি। এ শোভাযাত্রা কীভাবে সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল করা যায় সেই ব্যাপারে আমরা আলোচনা করেছি। শিখা চিরন্তন থেকে বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত এই শোভাযাত্রাটি হবে।

১১ ও ১২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হবে বলে জানান তিনি।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য লে. কর্ণেল (অব.) ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন ও আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া,বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ও উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।