সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রায় পেছালো

প্রকাশ | ০৫ অক্টোবর ২০২১, ১৪:৩১ | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২১, ১৭:৪৪

অনলাইন ডেস্ক

সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ (এস কে সিনহা) ১১ জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় পেছালো। রায় ঘোষণার জন্য নতুন করে আগামী ২১ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম অসুস্থ থাকায় রায়ের তারিখ পেছানো হয়। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

১৪ সেপ্টেম্বর একই আদালতে মামলাটির উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুনানি শেষ হয়। এরপর রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ৫ অক্টোবর ধার্য করেন আদালত।

এসকে সিনহা ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন, ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান, একই এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়।

মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ তদন্তের সময় মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ মামলার পলাতক আসামিরা হলেন- এস কে সিনহা, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম এ বিষয়ে বলেন, ‘সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ছিলেন প্রধান বিচারপত। ওই অবস্থানে থেকে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করা উচিত ছিল, সেটা না করে ব্যাংকারদের লোন দেওয়ার আয়োজন করেন তিনি। এরপর মানিলন্ডারিং করেছেন। তিন ধারায় আসামিদের সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা রয়েছে। আমরা আদালতের কাছে সমস্ত ডকুমেন্ট সাবমিট করেছি। আশা করি আসামিরা সর্বোচ্চ সাজা পাবেন।’
প্রসঙ্গত, ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২০১৯ সালের ১০ জুলাই দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে কমিশনের জেলা সমন্বিত কার্যালয় ঢাকা-১ এ এসকে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

একই বছরের ডিসেম্বরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক পরিচালক বেনজীর আহমেদ চার্জশিট দেন। ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ চার্জশিট গ্রহণ করেন। ২০২০ সালের ১৩ আগস্ট আদালত অভিযোগ গঠন করেন।

সাহস২৪.কম/এমআরি/এবি