বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের ৫০তম শাহাদতবার্ষিকী

প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:৩১

সাহস ডেস্ক

বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের ৫০তম শাহাদতবার্ষিকী আজ। ১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর যশোর জেলার গোয়ালহাটি গ্রামে সম্মুখযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ ও দলীয় সঙ্গীদের জীবন এবং অস্ত্র রক্ষা করতে গিয়ে শহিদ হন নূর মোহাম্মদ।

পাকিস্তান বাহিনীর গুলিতে সহযোদ্ধা নান্নু মিয়া গুরুতর আহত হলে এক হাতে এলএমজি ও আহত নান্নুকে কাঁধে নিয়ে শত্রুপক্ষের দিকে গুলি ছুড়তে থাকেন নূর মোহাম্মদ। হঠাৎ পাকিস্তান বাহিনীর মর্টারের আঘাতে তার ডান হাঁটু ভেঙে যায়। তবু গুলি চালাতে থাকেন তিনি। নিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা জেনে পাক বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে শুরু করেন, যাতে সহযোদ্ধারা নিরাপদে ঘাটিতে ফিরতে পারেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে এক সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন নূর মোহাম্মদ শেখ। যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুর গ্রামে তাকে সমাহিত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ 'বীরশ্রেষ্ঠ' খেতাবে তাকে ভূষিত করা হয়।

বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল সদর উপজেলার চণ্ডীবরপুর ইউনিয়নের মহিষখোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মোহাম্মদ আমানত শেখ ও মা জেন্নাতুন্নেছা। বাল্যকালেই বাবা-মাকে হারান তিনি। ১৯৫৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসে (ইপিআর) যোগদান করেন নূর মোহাম্মদ শেখ। দীর্ঘদিন দিনাজপুর সীমান্তে চাকরি করার পরে ১৯৭০ সালের ১০ জুলাই যশোর সেক্টরে বদলি হন। পরবর্তীতে ল্যান্সনায়েক পদোন্নতি পান তিনি। ১৯৭১ সালে যশোর অঞ্চল নিয়ে গঠিত ৮ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন নূর মোহাম্মদ।

২০০৮ সালের ১৮ মার্চ  নূর মোহাম্মদ শেখের গ্রাম মহিষখোলা নাম পরিবর্তন করে 'নূর মোহাম্মদ নগর' করা হয়। এছাড়াও উক্ত গ্রামে তার স্মৃতি রক্ষার্থে নির্মাণ করা হয়েছে 'বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্সনায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর' এবং স্মৃতিস্তম্ভ। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মহাবিদ্যালয়।

সাহস২৪.কম/জেএস/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত