রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে মারা যাওয়া শ্রমিকদের মরদেহ হস্তান্তর শুরু

প্রকাশ | ০৪ আগস্ট ২০২১, ১২:৫৭ | আপডেট: ০৪ আগস্ট ২০২১, ১৭:৪৮

অনলাইন ডেস্ক

প্রায় এক মাস অপেক্ষার পর নারায়নগঞ্জের রুপগঞ্জের হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪৮ জনের মধ্যে ২৪ জনের মৃতদেহ  স্বজনদের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

আজ বুধবার (৪ আগস্ট) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গ থেকে পরিবারের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ ডিএনএ প্রোফাইলিং সম্পন্ন করে ৪৮টি মরদেহের মধ্যে ৪৫ জন শ্রমিকের লাশ শনাক্ত করেছে। বাকি তিন মৃতদেহ শনাক্ত করতে স্বজনদের পুনরায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৪৫ মরদেহের মধ্য থেকে আজ ২৪টি মৃতদেহ হস্তান্তর করবেন। মরদেহ বুঝে নিতে সকালেই হাজির হয়েছেন স্বজনরা।

উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টার দিকেরূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুস কারখানা ভবনের নিচতলায় আগুন লাগে। মুহূর্তেই আগুন ভবনের অন্যান্য তলায় ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কে শ্রমিকরা ভবনের ছাদে জড়ো হন। ছাদসহ বিভিন্ন তলা থেকে লাফিয়ে পড়েন অনেকে। এতে ওই রাতেই তিনজনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, আহতও হন অসংখ্য শ্রমিক।

পরদিন ৯ জুলাই আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে কারখানা ভবনের চতুর্থ তলা থেকে ৪৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ডিএনএ পরীক্ষায় মরদেহ শনাক্তের কাজ শুরু করে সিআইডি। ঢামেক মর্গের সামনে অস্থায়ী বুথ খুলে ৪৮ মরদেহের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ৬৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। মরদেহের অবস্থা খারাপ থাকায় হাড় ও দাঁত সংগ্রহ করে ডিএনএ প্রোফাইলিং করা হয়। আর মরদেহের দাবিদার স্বজনদের রক্ত এবং বাক্কাল সোয়াব নেয়া হয়।