শাটডাউন শিথিল

প্রথম দিনেই ঈদের আমেজ

প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২১, ১৮:৫২

সজিব তুষার
ছবি: সংগৃহীত

করোনা সংক্রমণ রোধের চলমান বদ্ধ পরিস্থিতির পর মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে ২৩ জুলাই পর্যন্ত শিথিল করা হয় শাটডাউন। আটদিনের এই শিথিল অবস্থার শুরুর দিনেই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে রাজধানীসহ দেশের সব শহরগুলো।

বুধবার (১৪ জুলাই) মধ্যরাত থেকে এই শিথিল অবস্থা জারি করা হয়। ফলে রাজধানীর সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গণপরিবহনগুলো। ক্ষুদ্র বাজার থেকে শুরু করে খোলা হয়েছে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

কোরবানির ঈদের ব্যবসা ধরতে দুই সপ্তাহের শাটডাউনের পর দোকান খুলতে মরিয়া ব্যবসায়ীরা। সূর্যের আলোর প্রখরতার সঙ্গে সঙ্গে এক এক করে খুলে গেছে সব শপিংমল ও মার্কেট। ক্রেতা আসুক বা না আসুক দোকান খোলা গেছে এটাই যেন সবচেয়ে আনন্দের।

বিধিনিষেধ আরও কঠোর করার পরামর্শ থাকলেও ঈদ উদযাপন ও দরিদ্র মানুষের রোজগারের স্বার্থে তা শিথিল করেছে সরকার। তবে ২৩ জুলাই ভোর থেকে ফের ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হবে। জানা যায়, জরুরি সেবা বাদে বন্ধ থাকবে শিল্পকারখানাসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠান।

আজ বৃহস্পতিবার থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত আসনের অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের শর্তে বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ চলবে সব ধরনের গণপরিবহন। স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে খোলা থাকবে শপিংমল ও মার্কেট। তবে সাধারণ জনগণের সচেতন সহায়তা ছাড়া এসব বিধিনিষেধ কতটা কার্যকরী ভূমিকা রাখবে তা নিয়ে ভাবার বিষয় আছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রতিনিধি সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ততম শপিংমল নিউমার্কেটের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ করে সকালে খোলা হয় দোকান।

অবস্থানরত নিরাপত্তা কর্মীদের বরাতে জানা যায়, সকালে সবকিছু প্রস্তুত করে মার্কেট খোলা হয়েছে। যতটুকু স্বাস্থবিধির নিশ্চিত করা যায় তা করা হয়েছে।

একই ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায় গাউছিয়া, নীলক্ষেত, বঙ্গবাজার, গুলিস্তান, মৌচাক ও গুলশান হকার্স মার্কেটেও। এমনকি দিনের আলো ফুটতেই খুলতে দেখা গেছে ফুটপাথের দোকানপাটগুলোও।

গাউসিয়া মার্কেটের এক লেডিস কসমেটিক দোকান সহকারি সোহেল বলেন, করোনার কারণে দুই সপ্তাহ বন্ধ ছিলো দোকানপাট। আজ দোকান খোলার পরেই কিছু ক্রেতা এসেছে। ঈদের এই কয়দিন ভালো ইনকাম হতে পারে বলে আশা করছেন তিনি।

একই জায়গার অন্য এক দোকানদার বলেন, লকডাউনেও অর্ধেক মাস শেষ। কিন্তু কোনও ইনকামই হয়নি। বাড়ি ভাড়া, দোকান ভাড়া, খাওয়া-দাওয়া, বাচ্চাদের পেছনে খরচ সব মিলিয়ে ভিষণ সংকটে আছেন তারা। ঈদের এই কয়দিন যদি ভালো ব্যবসা না হয়; পথে বসতে হবে।

আজ ভোর থেকেই গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি পাওয়ায় রাজধানীর বিভিন্ন রুটে শুরু হয় ছোট-বড় বাস, সিএনজিচালিত অটো রিকশা, ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল, টেম্পুসহ বিভিন্ন পরিবহনের যাত্রী চলাচল। ভোর বেলায় পরিবহন ও যাত্রী সংখ্যা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে রাস্তায় বাড়তে থাকে গণপরিবহনসহ অন্যান্য যানবাহনের সংখ্যা।

প্রতিনিধি সূত্রে আরও জানা যায়, রাজধানীর গুলিস্তান মতিঝিল, পুরানা পল্টন, শাহবাগ, ধানমন্ডি, কলাবাগান, মোহাম্মদপুর, মিরপুরের রাস্তায় সকাল থেকেই লোকজনের উপস্থিতি অনেক বেশি। বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে প্রচুর পরিমানে বাস এবং যাত্রীর সমাগম দেখা যায়। এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডেও লক্ষ্য করা যায় প্রচুর পরিমানে ভির।

সহস২৪.কম/এসটি/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত