পশুর হাটে মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

আসন্ন ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে পশুর হাট ব্যবস্থাপনায় বেশ কিছু নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে সরকার। এতে অনলাইনের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কোরবানির পশুর হাট বসাতে হবে।

বুধবার (১৪ জুলাই) তথ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নির্দেশনা গুলো হচ্ছে-

১। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি এবং সরকারি অন্যান্য নির্দেশনা মেনে কোরবানির পশুর হাট বসাতে হবে।

২। হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের একমুখী চলাচল থাকতে হবে, অর্থাৎ প্রবেশপথ এবং বের হওয়ার পথ আলাদা করতে হবে।

৩। হাতে পর্যাপ্ত সময় রেখে পশু কেনা নিশ্চিত করতে হবে।

৪। বৃদ্ধ ও শিশুদের পশুর হাটে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা।

৫। পশুর হাটে জাল টাকা শনাক্তকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখা।

৬। হাটে আসা সবাই যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন, সেটি নিশ্চিত করা।

৭। ক্রেতা-বিক্রেতার তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র রাখতে হবে।

৮। হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত বেসিন, পানি ও জীবাণুনাশক সাবান রাখতে হবে।

৯। অনলাইনে পশু ক্রয়-বিক্রয়ে মানুষকে উৎসাহিত করতে হবে। অনলাইনের মাধ্যমে পশু কেনাবেচার জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও ই-ক্যাবের যৌথ উদ্যোগে এবং এটুআই এর কারিগরি সহায়তায় এ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এর আওতায় www.digitalhaat.net প্ল্যাটফর্মে সারাদেশের ২৪১টি ডিজিটাল হাট যুক্ত করা হয়েছে।

১০। যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় এমন স্থানে পশুর হাট বসানো যাবে না। এ নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

১১। পশুর হাটে সামাজিক দূরত্ব মেনে লাইনে দাঁড়ানো, প্রবেশ ও বের হওয়া নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে হবে।

১২। সরকার নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দিতে হবে।

১৩। এছাড়া, পশু কোরবানির পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বর্জ্য অপসারণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।