ক্লাবে গিয়েছিলাম, অপ্রীতিকর কিছু ঘটাইনি: পরীমনি

প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২১, ০২:৪৬

সাহস ডেস্ক

নায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে গুলশান-১ এর অল কমিউনিটি ক্লাবে ভাঙচুর ও কর্মীদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। তবে ঢাকাই ছবির অন্যতম শীর্ষ এ নায়িকা ভাঙচুরের ঘটনাটি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন।

বুধবার (১৬ জুন) রাত ১০টার দিকে বনানীর বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরী।

তিনি বলেন, আমি যদি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েই থাকি, তাহলে এতদিন (৮ দিন) পরে কেন সেটি মিডিয়ায় এলো। যদি ঘটাতাম, এতদিন কি কোনোভাবেই মিডিয়ায় আসতো না? আমি চাই, এটা নিয়েও তদন্ত হোক।

তিনি আরও বলেন, আমার সঙ্গে যেটা হয়েছে, হওয়ার পরের চারদিন কিন্তু আমি বসে থাকিনি। সবাইকে জানানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু ওরা কী করেছেন? আমি যদি কোনও অপরাধ করে থাকি, তাহলে তারা কেন এতদিন চুপ করে ছিলেন? আমি যখন অভিযোগ করলাম, তাদের বিষয়টি সামনে আনলাম তখন তারা এটি নিয়ে কথা বলছে। বোঝাই যাচ্ছে, আসল ঘটনার ফোকাস ঘোরানোর চেষ্টা। আপনারা দয়া করে মূল ঘটনা কোনোভাবেই এদিক-ওদিক হতে দেবেন না।

আপনি কি আপনি ওখানে গিয়েছিলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে পরী বলেন, আমি গিয়েছিলাম, কিন্তু অপ্রীতিকর কিছু ঘটাইনি। গিয়েছি যে, সেটা কিন্তু সিসি ফুটেজেই দেখা যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে অল কমিউনিটি ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ক্লাবটির সভাপতি কে এম আলমগীর ইকবাল। তিনি বলেন, আমাদের ক্লাবে গত ৮ জুন ছোট্ট একটি অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছিল। ক্লাব বন্ধের সময় হয়ে এসেছিল। তখন কয়েকজন লোক এসেছিলো ক্লাবে প্রবেশের জন্য। গেটে দায়িত্বরত সিকিউরিটি গার্ডরা ফোন করে জানায়, তারা কিছুক্ষণ আগে একবার এসেছিলেন। তখন তারা ফোন ও কিছু কাগজ রেখে গেছেন। সেগুলো নেওয়ার জন্য তারা আবার এসেছেন।

আলমগীর ইকবাল বলেন, আমাদের ক্লাবের নিজস্ব কিছু নিয়মকানুন আছে। বিশেষ করে কোনো মেয়ে যদি ক্লাবে আসে তাহলে তাকে কিছু ড্রেস কোড মেনে আসতে হয়। সেদিন এখানে যারা এসেছিলেন তাদের মধ্যে একজন ছিলেন হাফপ্যান্ট ও স্যান্ডেল পরা। তখন আমাদের কর্মকর্তারা বলেন, আপনারা তো ক্লাবের নিয়ম ভঙ্গ করেছেন। তাদের ক্লাব থেকে এটা বলায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

তিনি আরও বলেন, এই সময়ে তারা যে সদস্যদের মাধ্যমে ক্লাবে আসেন তিনিও তাদের চলে যেতে বলেন। কিন্তু তারা যেতে চাননি। পরে বাধ্য হয়ে আমাদের সেই সদস্য চলে যান। এর মধ্যে আমাদের ক্লাবের সব কর্মকর্তা চলে যান। শুধু দুজন ওয়েটার ছিল। এরই মধ্যে তারা ৯৯৯-এ কল করে পুলিশ ডাকেন। পুলিশ এলে তারা ক্লাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তাদের হেনস্তার অভিযোগ করেন। কিন্তু বাস্তবে তখন আমাদের তেমন কেউ ছিল না। ঘটনার সময় তখন রাত ১টা থেকে দেড়টা বাজে। বরং এই সময়ে একজন আমাদের ক্লাবের ১৫টি গ্লাস, নয়টি অ্যাসট্রে, বেশকিছু হাফ প্লেট ভাঙেন। পরে আমরা জানি, তার নাম পরীমনি। পুলিশ এসেও এর সত্যতা পায়। পরে পুলিশ ঘটনার বিষয়ে তাদের ঊর্ধ্বতনদের জানায়। তারা ওই পুলিশ সদস্যদের চলে যেতে বলেন।

আলমগীর ইকবাল বলেন, ক্লাবের নিয়ম অনুযায়ী যে সদস্যের মাধ্যমে তারা এসেছিলেন, আমরা তাকে শোকজ করেছি। তার বিরুদ্ধে ক্লাবের নিয়ম অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি চলমান রয়েছে।

ক্লাবের নিয়ম অনুযায়ী শাস্তির বিধান কী রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিয়ম ভঙ্গ করলে প্রথমে শোকজ করা হয়। অপরাধের ওপর নির্ভর করে সদস্যপদ তিন মাস, চার মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। আর অপরাধ বড় হলে সদস্যপদ স্থগিত করার নিয়ম রয়েছে।

গুলশান থানা জানায়, সাধারণত ৯৯৯ থেকে কোনো ডাক পেলে সেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ কী পেল না পেল ইত্যাদি অবগত করতে হয়। তার অংশ হিসেবে সেদিনের ক্লাবের ঘটনাটি পুলিশ জিডি আকারে লিখে রাখে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত